ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ষায়ও সতেজ থাকুন

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বর্ষাকালে সবকিছুতে কেমন যেনো একটা ভেজা ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকে। বৃষ্টির মাঝে রোদ উঠে আবার হুটহাট বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। রোদ দেখে বাড়ী থেকে বের হলেন কিন্তু হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি এসে আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল, আর এটাই বর্ষাকালে খুব স্বাভাবিক ঘটনা।

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে ত্বক এবং চুল প্রাণহীন হয়ে যায়। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অন্য মৌসুমের তুলনায় বেশি থাকে। ফলে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।। ত্বকে এ সময় র‌্যাশ ও ব্রণের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই বর্ষাকালে ত্বকের ও চুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। বর্ষায় কীভাবে সতেজ থাকা যায় চলুন জেনে নিই-

বর্ষায়ও সতেজ থাকুন

বর্ষায় ত্বক উজ্জ্বল, সুন্দর রাখতে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, পানি এবং পানি জাতীয় খাবার খাবেন। তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বার বার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। বর্ষাকালে রোদ কম থাকলে ও সূর্যরশ্মির প্রতিফলন হয় তাই রোদে বেরুলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

মুখের ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দূর করতে পাকা পেঁপের ক্বাথ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে বির্বণ ত্বকে ফিরে আসবে উজ্জ্বলতা। এসময়ে ব্রণ হলে নিমপাতা ও চন্দনবাটা লাগান। ব্রণের দাগ দূর করতে চন্দনবাটা, হলুদ ও লবঙ্গবাটা, জয়ফল গুঁড়োর সঙ্গে আপেল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। বিশ মিনিট পরে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে মুছে নিন।

গোসলের সময় গোলাপের পাপড়ি ও কাঁচা হলুদবাটা, বেসন ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে গায়ে মাখলে ত্বকে যেমন উজ্জ্বল আভা আসে, তেমনি গোলাপের সুগন্ধ সারাটাদিন ঘিরে থাকবে আপনাকে। আর মন থাকবে প্রাণোচ্ছ্বল।

বর্ষাকালে সব সময় ছাতা সাথে রাখবেন। চুল ভেজা রাখবেন না। চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল ওঠা শুরু হয়ে যায়। এছাড়া বেশিক্ষণ চুল ভেজা থাকলে চুলে ফাঙ্গাশ পড়তে পারে। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। ঘন ঘন শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে দুই দিন শ্যাম্পু করবেন।

বর্ষায়ও সতেজ থাকুন

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং বর্ষায় ইস্ট থেকে খুসকি হয়। তাই অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত কন্ডিশনার লাগান। যদি ঘাম জমে আপনার মাথায় ফোড়া বা ফুসকুড়ি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলের আগে বিঁচি ছাড়া সামান্য বেলের শাঁস চটকে পুরো মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘন্টা পর রিঠা ও আমলা ভেজানো পানিতে শ্যাম্পু করুন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

বর্ষায়ও সতেজ থাকুন

আপডেট সময় ০৯:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বর্ষাকালে সবকিছুতে কেমন যেনো একটা ভেজা ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকে। বৃষ্টির মাঝে রোদ উঠে আবার হুটহাট বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। রোদ দেখে বাড়ী থেকে বের হলেন কিন্তু হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি এসে আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল, আর এটাই বর্ষাকালে খুব স্বাভাবিক ঘটনা।

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে ত্বক এবং চুল প্রাণহীন হয়ে যায়। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অন্য মৌসুমের তুলনায় বেশি থাকে। ফলে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।। ত্বকে এ সময় র‌্যাশ ও ব্রণের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই বর্ষাকালে ত্বকের ও চুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। বর্ষায় কীভাবে সতেজ থাকা যায় চলুন জেনে নিই-

বর্ষায়ও সতেজ থাকুন

বর্ষায় ত্বক উজ্জ্বল, সুন্দর রাখতে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, পানি এবং পানি জাতীয় খাবার খাবেন। তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বার বার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। বর্ষাকালে রোদ কম থাকলে ও সূর্যরশ্মির প্রতিফলন হয় তাই রোদে বেরুলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

মুখের ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দূর করতে পাকা পেঁপের ক্বাথ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে বির্বণ ত্বকে ফিরে আসবে উজ্জ্বলতা। এসময়ে ব্রণ হলে নিমপাতা ও চন্দনবাটা লাগান। ব্রণের দাগ দূর করতে চন্দনবাটা, হলুদ ও লবঙ্গবাটা, জয়ফল গুঁড়োর সঙ্গে আপেল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। বিশ মিনিট পরে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে মুছে নিন।

গোসলের সময় গোলাপের পাপড়ি ও কাঁচা হলুদবাটা, বেসন ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে গায়ে মাখলে ত্বকে যেমন উজ্জ্বল আভা আসে, তেমনি গোলাপের সুগন্ধ সারাটাদিন ঘিরে থাকবে আপনাকে। আর মন থাকবে প্রাণোচ্ছ্বল।

বর্ষাকালে সব সময় ছাতা সাথে রাখবেন। চুল ভেজা রাখবেন না। চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল ওঠা শুরু হয়ে যায়। এছাড়া বেশিক্ষণ চুল ভেজা থাকলে চুলে ফাঙ্গাশ পড়তে পারে। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। ঘন ঘন শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে দুই দিন শ্যাম্পু করবেন।

বর্ষায়ও সতেজ থাকুন

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং বর্ষায় ইস্ট থেকে খুসকি হয়। তাই অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত কন্ডিশনার লাগান। যদি ঘাম জমে আপনার মাথায় ফোড়া বা ফুসকুড়ি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলের আগে বিঁচি ছাড়া সামান্য বেলের শাঁস চটকে পুরো মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘন্টা পর রিঠা ও আমলা ভেজানো পানিতে শ্যাম্পু করুন।