মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
বুধবার সকালে উপজেলর পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ডিগ্রি কলেজের মূল ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে কয়েক জন অভিভাবক প্রথমে বাঁশকাইট কলেজের সামনে এসে অধ্যক্ষের পকেট কমিটি চাইনা স্লোগান দিতে থাকে। পরে একে এক সহস্রাধিক অভিভাবকরা ও স্থানীরাও তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে মুরাদনগর-কৃষ্ণপুর-ইলিয়টগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে অধ্যেক্ষের পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এ সময় একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, অভিভাবক, ছাত্র ও স্থানীয়দের মতামতকে উপেক্ষা করে গত ফ্যাসিস সরকারের ১৬টি বছরের নেয় আবারও রাতের আধারে অধ্যক্ষ নিজে একটি পকেট কমিটি গঠনের চেষ্ঠা করছে। কলেজের অভিভাবক, ছাত্র, শিক্ষক ও স্থানীয়দের অন্ধ্যকারে রেখে তিনি (অধ্যক্ষ) স্বেচ্ছাচারি মনোভাব নিয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে একটি পকেট কমিটি জমা দিয়েছেন! আমরা সেই কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবি জানই।
এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষার্থীরাও অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস সরকারে বিতারিত করেছি। বিগত সরকারের নেয় এখনও কোন কমিটি ও সিদ্বান্ত আমরা মেনে নেব না। এই পকেট কমিটির বিষয়ে আমরা কোন জানিনা। এই কমিটি গনতন্ত্র পন্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন হতে হবে।
এ বিষয়ে বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদা জামান বলেন, কমিটি গঠনের প্রস্তাবটি কলেজ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথেই কথা বলেই পাঠানো হয়েছে। আজ ১৫ দিন পর কেন স্থানীয়রা এসে আপত্তি জানাচ্ছেন! বিষয়টিতো আর এলাকাবাসি সাথে কথা বলে পাঠানোর বিষয় না? বিষয়টি হলো কনফেডিশিয়াল, যাদের সাথে কনফেডিশিয়াল ভাবে কথা বলা দরকার তাদের সাথে কথা বলেই কমিটির তালিকা পাঠানো হয়েছে।