জাতীয় ডেস্কঃ
বাংলাদেশে নতুন করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হুমকি অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে অবস্থানরত এবং বাংলাদেশে ভ্রমণেচ্ছু মার্কিন নাগরিকদের প্রতি এ সতর্কতা দেয়া হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন ও সতর্ক থাকার পাশপাশি স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে মার্কিনিদের।
শনিবার বিকেলে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২৪শে আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে এই সতর্কতা কার্যকর হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে শনাক্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আশ শাম (আইসিস) এবং আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) দেশজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনা বা হামলা চালানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্চ মাসে ঢাকার হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দু’টি আত্মঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা চালানো হয়। আর সিলেটে এক বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হন। এ ঘটনা দুটো ২০১৬’র ১লা জুলাই ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার একটি রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের হাতে এক মার্কিন নাগরিকসহ ২০ জনের প্রাণহানি হওয়া হামলার পর প্রথম উল্লেখযোগ্য হামলা।
সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে আইসিস হুমকি দিয়েছিল-বাংলাদেশের সব চেয়ে ‘সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে’ তারা ‘অভিবাসী, পর্যটক, কুটনীতিক, গার্মেন্ট বায়ার, মিশনারি এবং স্পোর্টস টিমগুলোকে’ টার্গেট করে হামলা চালাবে। নিয়মিত হুমকি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রেক্ষিতে দূতাবাস মার্কিন সরকারি কমকর্তাদের কঠোর নিরাপত্তা দিকনির্দেশনার অধীনে বাংলাদেশে বসবাস, কাজ এবং ভ্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
নতুন সতর্কবার্তা মোতাবেক, এখন থেকে মার্কিন সরকারী কর্মকর্তাদের স্বামী-স্ত্রী বা সঙ্গি-সঙ্গিনী ঢাকায় থাকার বা ফেরার অনুমতি পাবেন। এর আগে শুধুমাত্র মার্কিন সরকারের নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের ঢাকায় থাকা বা ফেরার অনুমতি ছিল। কর্মকর্তাদের পরিবারের অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঢাকায় থাকার নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। ঢাকাস্থ দূতাবাসের মার্কিন সরকারী কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের পায়ে হেটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে, রিকশায় বা অন্য কোন অরক্ষিত যানে চলাচলের অনুমতি নেই। তারা সাইডওয়াকেও চলতে পারবেন না। এছাড়া, বাংলাদেশে বড় কোন জনসমাগমের স্থান বা অনুষ্ঠানে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, মার্কিন দূতাবাস চালু থাকবে এবং সকল প্রকার কনস্যুলার সেবা দেয়া অব্যাহত থাকবে। নতুন এই সতর্কবার্তা চলতি বছর ৫ই জানুয়ারি জারি করা সতর্ক বার্তার বদলে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।