হাফেজ নজরুল ইসলামঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার এক নং শ্রীকাইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চন্দনাইল গ্রামের সবুজ মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে চন্দনাইল বাজারে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে শত শত নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সজীবের নেতৃত্বে গত সোমবার বাদ মাগরিব চন্দনাইল বাজারে সবুজ মেম্বারের ওপর অতর্কিত হামলা করে তার নিকটে থাকা ৩.৯১.৬৪০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়, এতে সবুজ মেম্বার গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে গত রাতে সন্ত্রাসীরা নামাজরত অবস্থায় চন্দনাইল বাজার মসজিদে ককটেল ফাটিয়ে হামলা চালিয়ে সবুজ মিয়া মেম্বারের চাচাত ভাই হাসানসহ মসজিদের তিন মুসল্লিকে নামাজরত অবস্থায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা ককটেল ফাটিয়ে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মসজিদের বাইরের লোকজন ভয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে এবং মসজিদের মুসল্লীরা মসজিদের গেট তালা দিয়ে নামাজ আদায় করেন।
মসজিদে হামলার পর মসজিদের পশ্চিম পাশের বাড়িতে মানিক, মাসুদ ও জজ মিয়ার ঘরে হামলা, ভাংচুর ও মহিলাদের উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাতের ঘটনায় সামনে পুলিশ থাকলেও তারা ককটেলের বিস্ফোরণের ভয়ে সামনে এগোতে পারেনি পরে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন,
বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, গঠনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাউছার মিয়া, সাদির মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম, মসজিদের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান,বাজার মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শামিম আহমেদ, মসজিদের ক্যাশিয়ার এমদাদুল হক, হাসান, শ্যাম্ভু পদ দেব,সাবকে চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলামের মা তাহেরা বেগম, সবুজ মেম্বারের মা নাছিমা বেগমসহ আরো অনেকে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিলে যে কোন মুহূর্তে আবারো হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে বক্তারা আশংকা প্রকাশ করেন।