ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঙ্গরায় ইউপি সদস্যের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৭ পরিবার এলাকা ছাড়া

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর :

দুলাল মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে এলাকাবাসী। তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে হামলা। শুধু তাই নয়, তার ভয়ে প্রতিবাদ করা ৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের মেটংঘর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেটংঘর গ্রামের আলী আকবর খানের ছেলে উমর খঁানকে (২১) বেধরক মারধর করে আকুবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য দুলাল মিয়া ও তার দলবল। তখন এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে এলাকায় এসে বিষয়টি সে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া তার উপর আরো ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে।

গত ২০ জুন ভোরে খোকন চন্দ্র দাসের ছেলে এ ঘটনার স্বাক্ষী রাখাল চন্দ্র দাসের (২১) বাড়িতে গিয়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তার পিঠ ও ডান হাত রক্তাক্ত জখম করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রা‏হ্মন বাড়িয়ার কসবা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় বসতবাড়ি ও দোকানঘর ভাংচুর পূর্বক ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। একই সময়ে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুলাল মিয়া মেম্বারসহ নামধারী ১২জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৮/২০ জনের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগি উমর খান বাদী হয়ে গত ২৪ জুন বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

কয়েকজন ভূক্তভোগিসহ এলাকার অন্তত: ১৪/১৫ জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় শুরু হয় ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার তান্ডবলীলা। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জীবন নাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে তার সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এবং তাদের হুমকি ধমকিতে ঘটনার পর থেকেই ৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকার অধিকাংশ অন্যায় কাজের সাথে সে জড়িত।

করোনাকে কেন্দ্র করে সে প্রায়ই তার প্রতিপক্ষ লোকদের বাড়িতে অযথা লকডাউন দিয়ে এলাকার প্রায় ৮/১০টি পরিবারকে হয়রানি করেছে। অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা নিচ্ছে না।

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল মিয়া মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে ফঁাসানোর চেষ্টা করছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) অমর চন্দ্র দাস উক্ত বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি শুক্রবার তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। যতটুকু জানতে পেরেছি ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করার দায়িত্ব নিয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পরও মামলা নেওয়া হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নে? তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান না হলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

বাঙ্গরায় ইউপি সদস্যের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৭ পরিবার এলাকা ছাড়া

আপডেট সময় ০৭:৪২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর :

দুলাল মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে এলাকাবাসী। তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে হামলা। শুধু তাই নয়, তার ভয়ে প্রতিবাদ করা ৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের মেটংঘর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেটংঘর গ্রামের আলী আকবর খানের ছেলে উমর খঁানকে (২১) বেধরক মারধর করে আকুবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য দুলাল মিয়া ও তার দলবল। তখন এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে এলাকায় এসে বিষয়টি সে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া তার উপর আরো ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে।

গত ২০ জুন ভোরে খোকন চন্দ্র দাসের ছেলে এ ঘটনার স্বাক্ষী রাখাল চন্দ্র দাসের (২১) বাড়িতে গিয়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তার পিঠ ও ডান হাত রক্তাক্ত জখম করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রা‏হ্মন বাড়িয়ার কসবা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় বসতবাড়ি ও দোকানঘর ভাংচুর পূর্বক ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। একই সময়ে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুলাল মিয়া মেম্বারসহ নামধারী ১২জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৮/২০ জনের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগি উমর খান বাদী হয়ে গত ২৪ জুন বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

কয়েকজন ভূক্তভোগিসহ এলাকার অন্তত: ১৪/১৫ জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় শুরু হয় ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার তান্ডবলীলা। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জীবন নাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে তার সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এবং তাদের হুমকি ধমকিতে ঘটনার পর থেকেই ৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকার অধিকাংশ অন্যায় কাজের সাথে সে জড়িত।

করোনাকে কেন্দ্র করে সে প্রায়ই তার প্রতিপক্ষ লোকদের বাড়িতে অযথা লকডাউন দিয়ে এলাকার প্রায় ৮/১০টি পরিবারকে হয়রানি করেছে। অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা নিচ্ছে না।

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল মিয়া মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে ফঁাসানোর চেষ্টা করছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) অমর চন্দ্র দাস উক্ত বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি শুক্রবার তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। যতটুকু জানতে পেরেছি ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করার দায়িত্ব নিয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পরও মামলা নেওয়া হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নে? তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান না হলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।