মো. হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা শাখার সম্মেলন শুক্রবার বিকেলে হাইস্কুল সড়কের মা-বাবা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পীর চরমোনাই মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার সভাপতি কে. এম হুমায়ূন কবীর। থানা সভাপতি শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাঙ্গরা বাজার থানার আহবায়ক মাওলানা মানসুরুল হক, মুজাহিদ কমিটির ছদর হাফেজ শাব্বির আহমাদ শাহীন মোল্লা, ইসলামী যুব আন্দোলনের আহবায়ক ডা: মাজিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন মুরাদনগর থানার শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হক, মুজাহিদ কমিটির ছদর আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, নায়েবে ছদর হাফেজ আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সওদাগর। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বাঙ্গরা বাজার থানা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদের উপস্থাপনায় সম্মেলনে জেলা-থানা নেতৃবন্দ ও সুধীমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে ফয়সাল মাহমুদকে সভাপতি, সাইফুল ইসলামকে সহ-সভাপতি ও মাহফুজ সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বাঙ্গরা বাজার থানা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্রদেরকে যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। আত্মশুদ্ধিমূলক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনে ছাত্রদেরকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। নৈতিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করায় সর্বত্র অশান্তির দাবানল জ্বলছে। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমেই জননিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, রাসূল সা.এর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ না থাকায় হিংসা-বিদ্বেষের আগুনে মানুষ জ্বলে-পুড়ে ছাই হচ্ছে।
সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ে জর্জরিত জাতিকে বাঁচাতে হলে রাসূল সা.-এর অনুপম আদর্শের রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরিয়ে আনতে হলে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, জাতিকে নৈতিকতাহীন করার পেছনে ঈমান ও ইসলাম ধ্বংশকারী শিক্ষা আইন ও সিলেবাসই বেশি দায়ী। এজন্য শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।