ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মা

মো. আবু রায়হান চৌধুরী:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কে একটি মানসম্মত শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলতে এ উপজেলার মায়েরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। সন্তানদের প্রতি মা যত বেশি যতœবান হবেন সন্তান ও ততো বেশি ভালো এবং শিক্ষিত হবে। তাই প্রত্যেক মায়েদের উচিৎ সঠিক সময়ে সন্তানদের প্রতি যতœবান হওয়া।

বৃহস্পতিবার উপজেলা সদর ও উজানচর কøাস্টারের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশের মাধ্যমে বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৯ এর ফলাফল প্রকাশ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণিতে ১জন করে ৫টি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ মা নির্বাচিত করা হয়।

সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ছলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হায়দরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উজানচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কবির হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্রেষ্ঠ মায়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় তিনি মায়েদের সচেতন হওয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান কল্পে আজকের শিশুদের আগামী দিনে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীর মা পরিচর্চাকারী হিসেবে কাজ করে এবং বাস্তব মুখী শিক্ষা দিতে মায়ের গুরুত্ব অগ্রণী। একজন মা পাড়েন শিশুদেরকে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ও আদর ¯েœহ, ভালবাসা,হৃদয়ে স্পন্দতা,মধুরতার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে অগ্রসর করে ভবিষ্যতের জীবনে স্বপ্ন দেখাতে। সমাজকে সচেতনা করা, শিশুদেরকে শিক্ষার প্রতি নজর দেওয়া, শিক্ষার্থীর আচরণ সম্পর্কে তুলে দেওয়া, শিশু শারিরীক ও মানসিক সম্পর্কে শিক্ষক ও পরিবারের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের জন্য, শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও বিদ্যালয়ে না আসার প্রবণতা থাকলে জানার জন্য, পরিবার সদস্যের শিশু সম্পর্কে সচেতনতা করার জন্য, শিক্ষার্থীর ঘাটতি গুলো সনাক্ত করে নিরাময় মূলক ব্যবস্থার জন্য, বিদ্যালয় ও বাড়ির মধ্যে ব্যবধান নেই বলে মনে করে থাকে, শিশুকে বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ ও ঝড়েপড়া রোধের জন্য, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর লক্ষ নির্ধারণ করা, নিজের সন্তানের উন্নয়নের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা সৃষ্টি হয়, শিক্ষকদের সাথে বিশ্বাস সম্পর্ক সৃষ্টি করা, শিশু উপবৃত্তি সম্পর্কে অবহিত করা ও শিক্ষার্থীর আচরণ জেনে উপযুক্ত সহায়তা সৃষ্টি করে। মা সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষক, অভিভাবক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেতুবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি দিচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্য বই দেওয়া হচ্ছে, স্কুলের পোশাক দেওয়া হবে, আকর্ষনীয় বিদ্যালয় ভবন তৈরি হচ্ছে, আধুনিক অবকাঠামোর জন্য ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে মিড ডে মিলের জন্য প্রতিদিন খাবার দিতে হবে, বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে হবে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবিএম তাজুল ইসলাম প্রত্যাশা করেন বাঞ্ছারামপুরকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলবেন। সেই লক্ষ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষকগন,জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, শিক্ষার্থীর মা ও সর্বস্তরের জনগণ কাজ করে যাচ্ছেন।

উক্ত মা সমাবেশে উজানচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন,অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানিজ ফারজানা,সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলী পলাশ,সহকারী শিক্ষক মমতাজ বেগম,সেলিনা আক্তার,জালাল উদ্দিন,লোকনাথ সূত্রধর,আসমা বেগম, মো.আনোয়ার হোসেন,সঞ্জয় কুমার সাহাসহ ৩২০ জন মা, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

বাঞ্ছারামপুরকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মা

আপডেট সময় ০৪:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

মো. আবু রায়হান চৌধুরী:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কে একটি মানসম্মত শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলতে এ উপজেলার মায়েরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। সন্তানদের প্রতি মা যত বেশি যতœবান হবেন সন্তান ও ততো বেশি ভালো এবং শিক্ষিত হবে। তাই প্রত্যেক মায়েদের উচিৎ সঠিক সময়ে সন্তানদের প্রতি যতœবান হওয়া।

বৃহস্পতিবার উপজেলা সদর ও উজানচর কøাস্টারের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশের মাধ্যমে বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৯ এর ফলাফল প্রকাশ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণিতে ১জন করে ৫টি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ মা নির্বাচিত করা হয়।

সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ছলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হায়দরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উজানচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কবির হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্রেষ্ঠ মায়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় তিনি মায়েদের সচেতন হওয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান কল্পে আজকের শিশুদের আগামী দিনে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীর মা পরিচর্চাকারী হিসেবে কাজ করে এবং বাস্তব মুখী শিক্ষা দিতে মায়ের গুরুত্ব অগ্রণী। একজন মা পাড়েন শিশুদেরকে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ও আদর ¯েœহ, ভালবাসা,হৃদয়ে স্পন্দতা,মধুরতার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে অগ্রসর করে ভবিষ্যতের জীবনে স্বপ্ন দেখাতে। সমাজকে সচেতনা করা, শিশুদেরকে শিক্ষার প্রতি নজর দেওয়া, শিক্ষার্থীর আচরণ সম্পর্কে তুলে দেওয়া, শিশু শারিরীক ও মানসিক সম্পর্কে শিক্ষক ও পরিবারের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের জন্য, শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও বিদ্যালয়ে না আসার প্রবণতা থাকলে জানার জন্য, পরিবার সদস্যের শিশু সম্পর্কে সচেতনতা করার জন্য, শিক্ষার্থীর ঘাটতি গুলো সনাক্ত করে নিরাময় মূলক ব্যবস্থার জন্য, বিদ্যালয় ও বাড়ির মধ্যে ব্যবধান নেই বলে মনে করে থাকে, শিশুকে বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ ও ঝড়েপড়া রোধের জন্য, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর লক্ষ নির্ধারণ করা, নিজের সন্তানের উন্নয়নের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা সৃষ্টি হয়, শিক্ষকদের সাথে বিশ্বাস সম্পর্ক সৃষ্টি করা, শিশু উপবৃত্তি সম্পর্কে অবহিত করা ও শিক্ষার্থীর আচরণ জেনে উপযুক্ত সহায়তা সৃষ্টি করে। মা সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষক, অভিভাবক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেতুবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি দিচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্য বই দেওয়া হচ্ছে, স্কুলের পোশাক দেওয়া হবে, আকর্ষনীয় বিদ্যালয় ভবন তৈরি হচ্ছে, আধুনিক অবকাঠামোর জন্য ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে মিড ডে মিলের জন্য প্রতিদিন খাবার দিতে হবে, বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে হবে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবিএম তাজুল ইসলাম প্রত্যাশা করেন বাঞ্ছারামপুরকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলবেন। সেই লক্ষ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষকগন,জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, শিক্ষার্থীর মা ও সর্বস্তরের জনগণ কাজ করে যাচ্ছেন।

উক্ত মা সমাবেশে উজানচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন,অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানিজ ফারজানা,সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলী পলাশ,সহকারী শিক্ষক মমতাজ বেগম,সেলিনা আক্তার,জালাল উদ্দিন,লোকনাথ সূত্রধর,আসমা বেগম, মো.আনোয়ার হোসেন,সঞ্জয় কুমার সাহাসহ ৩২০ জন মা, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।