ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরের ‘ডন’ খ্যাত এমপির ভাগিনা জনির জামিন।বিএনপির নেতাকর্মী সহ এলাকায় তোলপাড়! 

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি ক্যা.এবি তাজুল ইসলামের ভাগিনা কাজী জাদিদ আল রহমান ওরফে জনি ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার  জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার শাহ আলম খান  নিশ্চিত করে বলেন,২৩ ডিসেম্বর রাতে আমার কাছে হাইকোর্টের জামিন সংক্রান্ত আদেশ এলে কোর্টের নির্দেশনানুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর জেল থেকে ছাড়া পায়।
এর আগে আমি বিষয়টি কোর্ট ইন্সপেক্টর কে বিষয়টি জানাই।তিনি যখন জানালেন,তার (জনি) বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই, তখন গ্রীণ সিগনাল পেয়ে মহামান্য আদালতের নির্দেশনানুযায়ী ছেড়ে দেই।
এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এসআই ও নয়ন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল আহমদ এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে বলেন,জনি চেয়ারম্যানের জামিনের বিষয়টি আপনার কাছ প্রথম জানলাম।মামলাটি তো পেন্ডিং অবস্থায় পড়েছিলো।আমরা তদন্ত কাজ শুরুর প্রক্রিয়ায় ছিলাম।এ অবস্থায় জামিন পেলে আমাদের কি করার আছে?”
জেলা আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.হাবিব উল্লাহ বলেন,” মামলাটি স্পর্শ কাতর।জেলা আদালত থেকে জনির মামলা খারিজ হওয়ার পর মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন যদি জামিন দেয়,আমি কি করব?”
বাঞ্ছারামপুরের নানান অপকর্মের হোতা,২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির লিফলেট বিতরনকালে পুলিশের গুকিতে নিহত
ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার ২ নং এজাহার ভূক্ত আসামী জনি চেয়ারম্যান জামিনের খবর আজ ২৭৷ ডিসেম্বর শুক্রবার বাঞ্ছারামপুরে এসে পৌছুলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ১ নং স্বাক্ষী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি বর্তমানে বিএনপির অন্যতম নেতা ড.সায়েদুজ্জামান কামাল হতাশা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নয়নকে পুলিশ গুলি করলেও এর অন্যতম নির্দেশ দাতা ছিলো জনি চেয়ারম্যান। সে কিভাবে জামিন পেলো? বাঞ্ছারামপুরের রুপসদীর আনোয়ারের কাছে জনির কোটি টাকা গচ্ছিত ছিলো।যা সে রিমান্ডে স্বীকার করেছিলো।সে টাকা হয়তো জামিন পেতে সহায়তা করেছে,দালালের মাধ্যমে।
বাঞ্ছারামপুর বিএনপির সাধারন সম্পাদক একেএম মুছা জনি চেয়ারম্যানের জামিনের খবর জানতে পেরে বলেন,সর্ষেতে ভূত আছে। নইলে শুধু নয়ন হত্যাই নয়,জনি চেয়ারম্যান তার মামা সাবেক এমপি ক্যা. তাজের দোহাই দিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই যে যা সে করেনি।হত্যা,মানিলন্ডারিং,বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করা—সবই হয়েছে জনির নির্দেশে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী ১৬ বছর ঘরে থাকতে পারেনি জনির কারনে।হাজার মামলা দিয়েছে আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যা এখনো চলছে।তার জামিন কি করে হলো? কারা করালো? সে প্রশাসন সহ বাঞ্ছারামপুরবাসীকে জিম্মি করে রেখেছিলো।কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে।তাকে যে কোনো মূল্যে আটকাতে হবে, যেনো দেশ ছাড়তে না পারে”।
নিহত ছাত্রদল নেতা উপজেলার শিবপুর গ্রামের নয়নের পিতা মো.রহমতুল্লাহ জনিনচেয়ারম্যানের জামিনের খবর শুনে  বলেন, হে আল্লাহ আমি এবার কার কাছে বিচার চাইবো?
তিনি জানান,৪২ জনের নাম উল্লেখ করাসহ আরো অঙ্গাত ৩৫০/৪০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি।প্রধান আসামি যদি জামিন পেয়ে যায় তা হলে তো আমিও এলাকায় থাকা দুষ্কর।এসব বলে তিনি মুঠোফোনে কাঁদতে থাকেন।”
সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এমএ খালেক জানান, জনি-নাম্বার ওয়ান ক্রিমিনাল। মানি লন্ডারিং,টেন্ডারবাজি,দখল বানিজ্যসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা সে করেনি।এই বিচার তো সঠিক হয়নি।তাকে আটকাতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এডভোকেট রফিক শিকদার বলেন, জনির নাম এখন কলংক। এ কলংকে কে কারা জামিন করালো সেটি এখন খুঁজে বের করতে হবে।
উল্লেখ্য,
গত ২৩ আগস্ট  তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ বাঞ্ছারামপুরের ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।এর আগে  ২২ আগস্ট রাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঐদিন বিকেলে জনিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক সাদেকুর রহমান তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর থেকেই বাঞ্ছারামপুরের খ্যাত জনি চেয়ারম্যান জেলা কারাগারে তার মামা ক্যা.(অব.)তাজুল ইসলামের সাথেই অবস্থান করছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) জানিয়েছেন, মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ৪২ হলেও তারা এ পর্যন্ত সাবেক এমপি তাজসহ মাত্র ৪জন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।কারন মামলাটি এখনো ‘পেন্ডিং ‘ অবস্থায় রয়েছে –জানান মামলার আই.ও সোহেল আহমেদ।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ ,৪২ জন এজাহারভূক্ত আসামীদের মাত্র ৪ গ্রেফতার হলেও পুলিশ ও ডিবি’র অবহেলায় বাকী আসামীদের গ্রেফতার না করায় তারা দোর্দন্ড প্রতাপে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তির আনলে জনপ্রিয় ছাত্রদলের সহসভাপতি  নয়নের আত্মা শান্তি পাবে।e
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঞ্ছারামপুরের ‘ডন’ খ্যাত এমপির ভাগিনা জনির জামিন।বিএনপির নেতাকর্মী সহ এলাকায় তোলপাড়! 

বাঞ্ছারামপুরের ‘ডন’ খ্যাত এমপির ভাগিনা জনির জামিন।বিএনপির নেতাকর্মী সহ এলাকায় তোলপাড়! 

আপডেট সময় ১২:১১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি ক্যা.এবি তাজুল ইসলামের ভাগিনা কাজী জাদিদ আল রহমান ওরফে জনি ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার  জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার শাহ আলম খান  নিশ্চিত করে বলেন,২৩ ডিসেম্বর রাতে আমার কাছে হাইকোর্টের জামিন সংক্রান্ত আদেশ এলে কোর্টের নির্দেশনানুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর জেল থেকে ছাড়া পায়।
এর আগে আমি বিষয়টি কোর্ট ইন্সপেক্টর কে বিষয়টি জানাই।তিনি যখন জানালেন,তার (জনি) বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই, তখন গ্রীণ সিগনাল পেয়ে মহামান্য আদালতের নির্দেশনানুযায়ী ছেড়ে দেই।
এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এসআই ও নয়ন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল আহমদ এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে বলেন,জনি চেয়ারম্যানের জামিনের বিষয়টি আপনার কাছ প্রথম জানলাম।মামলাটি তো পেন্ডিং অবস্থায় পড়েছিলো।আমরা তদন্ত কাজ শুরুর প্রক্রিয়ায় ছিলাম।এ অবস্থায় জামিন পেলে আমাদের কি করার আছে?”
জেলা আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.হাবিব উল্লাহ বলেন,” মামলাটি স্পর্শ কাতর।জেলা আদালত থেকে জনির মামলা খারিজ হওয়ার পর মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন যদি জামিন দেয়,আমি কি করব?”
বাঞ্ছারামপুরের নানান অপকর্মের হোতা,২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির লিফলেট বিতরনকালে পুলিশের গুকিতে নিহত
ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার ২ নং এজাহার ভূক্ত আসামী জনি চেয়ারম্যান জামিনের খবর আজ ২৭৷ ডিসেম্বর শুক্রবার বাঞ্ছারামপুরে এসে পৌছুলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ১ নং স্বাক্ষী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি বর্তমানে বিএনপির অন্যতম নেতা ড.সায়েদুজ্জামান কামাল হতাশা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নয়নকে পুলিশ গুলি করলেও এর অন্যতম নির্দেশ দাতা ছিলো জনি চেয়ারম্যান। সে কিভাবে জামিন পেলো? বাঞ্ছারামপুরের রুপসদীর আনোয়ারের কাছে জনির কোটি টাকা গচ্ছিত ছিলো।যা সে রিমান্ডে স্বীকার করেছিলো।সে টাকা হয়তো জামিন পেতে সহায়তা করেছে,দালালের মাধ্যমে।
বাঞ্ছারামপুর বিএনপির সাধারন সম্পাদক একেএম মুছা জনি চেয়ারম্যানের জামিনের খবর জানতে পেরে বলেন,সর্ষেতে ভূত আছে। নইলে শুধু নয়ন হত্যাই নয়,জনি চেয়ারম্যান তার মামা সাবেক এমপি ক্যা. তাজের দোহাই দিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই যে যা সে করেনি।হত্যা,মানিলন্ডারিং,বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করা—সবই হয়েছে জনির নির্দেশে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী ১৬ বছর ঘরে থাকতে পারেনি জনির কারনে।হাজার মামলা দিয়েছে আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যা এখনো চলছে।তার জামিন কি করে হলো? কারা করালো? সে প্রশাসন সহ বাঞ্ছারামপুরবাসীকে জিম্মি করে রেখেছিলো।কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে।তাকে যে কোনো মূল্যে আটকাতে হবে, যেনো দেশ ছাড়তে না পারে”।
নিহত ছাত্রদল নেতা উপজেলার শিবপুর গ্রামের নয়নের পিতা মো.রহমতুল্লাহ জনিনচেয়ারম্যানের জামিনের খবর শুনে  বলেন, হে আল্লাহ আমি এবার কার কাছে বিচার চাইবো?
তিনি জানান,৪২ জনের নাম উল্লেখ করাসহ আরো অঙ্গাত ৩৫০/৪০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি।প্রধান আসামি যদি জামিন পেয়ে যায় তা হলে তো আমিও এলাকায় থাকা দুষ্কর।এসব বলে তিনি মুঠোফোনে কাঁদতে থাকেন।”
সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এমএ খালেক জানান, জনি-নাম্বার ওয়ান ক্রিমিনাল। মানি লন্ডারিং,টেন্ডারবাজি,দখল বানিজ্যসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা সে করেনি।এই বিচার তো সঠিক হয়নি।তাকে আটকাতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এডভোকেট রফিক শিকদার বলেন, জনির নাম এখন কলংক। এ কলংকে কে কারা জামিন করালো সেটি এখন খুঁজে বের করতে হবে।
উল্লেখ্য,
গত ২৩ আগস্ট  তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ বাঞ্ছারামপুরের ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।এর আগে  ২২ আগস্ট রাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঐদিন বিকেলে জনিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক সাদেকুর রহমান তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর থেকেই বাঞ্ছারামপুরের খ্যাত জনি চেয়ারম্যান জেলা কারাগারে তার মামা ক্যা.(অব.)তাজুল ইসলামের সাথেই অবস্থান করছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) জানিয়েছেন, মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ৪২ হলেও তারা এ পর্যন্ত সাবেক এমপি তাজসহ মাত্র ৪জন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।কারন মামলাটি এখনো ‘পেন্ডিং ‘ অবস্থায় রয়েছে –জানান মামলার আই.ও সোহেল আহমেদ।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ ,৪২ জন এজাহারভূক্ত আসামীদের মাত্র ৪ গ্রেফতার হলেও পুলিশ ও ডিবি’র অবহেলায় বাকী আসামীদের গ্রেফতার না করায় তারা দোর্দন্ড প্রতাপে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তির আনলে জনপ্রিয় ছাত্রদলের সহসভাপতি  নয়নের আত্মা শান্তি পাবে।e