সালমা আহমেদ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দিনমজুর মাইনুদ্দিন (৬০) কবিরাজির আড়ালে তাবিজ-কবজের ভন্ডামী-প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ, এমন একটা সময় কেটেছে তার, যখন খাবারের অভাবে দিনের পর দিন অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হয়েছে।
অথচ সেই মাইনুদ্দিনের বাড়ি আজ দোতলা বিলাসবহুল ভবন। যা দেখে এলাকাবাসী রীতিমতো হতবাক। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে অনেকের।আজ মঙ্গলবার এলাকার দশানী এলাকার ব্যবসায়ী সজল মিয়া অভিযোগ কওে বলেন,-ভন্ড মাইনুদ্দিন আমার ব্যবসার উন্নতি কওে দেয়ার নামে ২ দফা ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।আমার ব্যবসা এখন উল্টো বন্ধ হয়ে গেছে’।
বছর খানেক আগে সাবেক ওসি অংশু কুমার দেবের এক অভিযানে মাইনুদ্দিন কয়েক মাস এলাকা ছেড়ে নরসিংদীতে আত্মগোপনে ছিলেন। মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে ফকিরির নামে প্রতারণা ও তাবিজ-কবজের ব্যবসা করে মাত্র ৮-১০ বছরে মাইনুদ্দিন কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বসতবাড়ি ছাড়াও এলাকায় রয়েছে তার আরও একটি বাড়ি, ৪ বিঘা জমি। বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে অন্তত কোটি টাকা।
জীবনে কখনও রাজনীতি না করলেও গত কয়েক বছর আগে নিজেকে বিপদমুক্ত রাখার কৌশল হিসেবে নাম লেখান রূপসদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক হিসেবে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জাানান, ‘সব এলাকা থেকে মানুষজন আমার কাছে আইয়ে (আসে) উপকার পায় বিধায়। আমি কাউরে জোর কইরা আমার কাছে আনি না। আগে অভাব আছিল বিধায় মানুষের বাড়িতে কাম করছি। এহন আল্লাহর রহমতে আমি কোটিপতি।
এ ব্যপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ‘হোগলাকান্দির কথিত তাবিজ-কবজের ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আমাদের থানার পুলিশের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে তার সম্পর্কে যেহেতু এখন অভিযোগ আসতে শুরু করেছে, অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্দে ব্যবস্থা নেব ।