ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে অবাধে চলছে হুন্ডির ব্যবসা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

রহিম বাদশা।বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোষকান্দি গ্রামে।এক সময় বিদেশে ছিলেন।বিদেশে থাকাকালীন হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতেন।কম টাকায় ব্যাংকিং সেক্টরকে পাশ কাটিয়ে অবৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোই হলো হুন্ডি।

তিনি বেশ মজা পান ব্যবসায়।চিন্তাভাবনা করে দেখেন, বিদেশে যে টাকা আয়,দেশে হুন্ডির ব্যবসা করলে তারচে ১০ গুন বেশী লাভ।ব্যাস,চলে এলেন দেশে।বর্তমানে এলাকায় হুন্ডির ব্যবসায় এক নম্বর। লাভ যেমন লসও আছে ব্যবসায়।অভিযোগ আছে রহিম বাদশা ইতোমধ্যে হুন্ডির মামলায় একবার গ্রেফতার হন।জামিনে ছাড়াও পেয়ে যান,- এই হলো রহিম বাদশার বায়োগ্রাফি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ১৩টি ইউনিয়নে লুকিয়ে-ছাপিয়ে শতাধিক ব্যক্তি হুন্ডির সাথে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।এর মাধ্যমে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

তার মধ্যে,গত ২ মাসে ২ বার হুন্ডির টাকা ছিনতাই হয় বলে জানা গেছে।প্রথমটি হয় মরিচাকান্দির জনৈক মোবাইল রিপেয়ারিংওয়ালা (নাম প্রকাশ করা হলো না), হুন্ডির টাকা বাঞ্ছারামপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় মাতুবাড়ির মোড়ে দশদনার কিছু চিহ্নিত ছেলে সে টাকা ছিনতাই করে নেয়,অন্যটি হলো সোনারামপুরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ছিনতাই হয়।যা পরে-শাহিন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রফাদফা হয় বরে জানা গেছে।
৩য় ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি।অভিযোগকারী সেই রহিম বাদশা।তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কানাইনগরের আনোয়ার-টুটুল গং তার জমি কেনার জন্য ঢাকা থেকে আনার সময় ১৫ লাখ টাকা সন্ধ্যার সময় ছিনিয়ে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে তদন্ত ও বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে,বিদেশে থেকে ৬ ব্যক্তির টাকা পাঠায় হুন্ডির মাধ্যমে। যা গত বৃহস্পতিবার রহিম বাদশা ঢাকা থেকে নিয়ে আসে।

অভিযোগ রয়েছে তিনি ঢাকার টাকা ঢাকায়-ই রেখে আসেন।কারন,তার ধার দেনা ছিলো প্রচুর।সেটাকা শোধ করার চাপ ছিলো।তিনি ফন্দি করেন,ছিনতাইকারী নিয়ে গেছে-এমন অজুহাত সৃষ্টি করে প্রাপকের কাছ থেকে সহানুভতিশীল ক্ষমা  পেয়ে যাবেন।ভিন্নসূত্র জানায়,টাকা ছিনতাই হয় ঠিকই।কিন্তু সে টাকা আনোয়ার-টুটুল গং নয়।তাদের এন্ট্রি পার্টি হিসেবে এলাকায় পরিচিত ‘অহিদ-ফকরুল’গ্রুপ, রহিম বাদশাকে দিয়ে শত্রুতাবশত: আনোয়ার-টুটুলের নাম বলায় ফাসানোর জন্য।যা ছিলো ছিনতাই-নামে নাটক।

তারমানে রহিম মিয়া এক চোর।হুন্ডিকারবারি।তার কাছ থেকে বাটপাড়ি করে টাকা নিয়ে গেলো অহিদ-ফকরুল।
এই বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো.নিজামউদ্দিন বলেন,টাকা ছিনতাইয়ের মৌখিক অভিযোগ করে রহিম বাদশা।আবার,নজরুল চেয়ারম্যান বলেছেন-রহিম বাদশা চিহ্নিত হুন্ডি ব্যবসায়ী।বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি’।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

বাঞ্ছারামপুরে অবাধে চলছে হুন্ডির ব্যবসা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আপডেট সময় ০২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

রহিম বাদশা।বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোষকান্দি গ্রামে।এক সময় বিদেশে ছিলেন।বিদেশে থাকাকালীন হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতেন।কম টাকায় ব্যাংকিং সেক্টরকে পাশ কাটিয়ে অবৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোই হলো হুন্ডি।

তিনি বেশ মজা পান ব্যবসায়।চিন্তাভাবনা করে দেখেন, বিদেশে যে টাকা আয়,দেশে হুন্ডির ব্যবসা করলে তারচে ১০ গুন বেশী লাভ।ব্যাস,চলে এলেন দেশে।বর্তমানে এলাকায় হুন্ডির ব্যবসায় এক নম্বর। লাভ যেমন লসও আছে ব্যবসায়।অভিযোগ আছে রহিম বাদশা ইতোমধ্যে হুন্ডির মামলায় একবার গ্রেফতার হন।জামিনে ছাড়াও পেয়ে যান,- এই হলো রহিম বাদশার বায়োগ্রাফি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ১৩টি ইউনিয়নে লুকিয়ে-ছাপিয়ে শতাধিক ব্যক্তি হুন্ডির সাথে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।এর মাধ্যমে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

তার মধ্যে,গত ২ মাসে ২ বার হুন্ডির টাকা ছিনতাই হয় বলে জানা গেছে।প্রথমটি হয় মরিচাকান্দির জনৈক মোবাইল রিপেয়ারিংওয়ালা (নাম প্রকাশ করা হলো না), হুন্ডির টাকা বাঞ্ছারামপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় মাতুবাড়ির মোড়ে দশদনার কিছু চিহ্নিত ছেলে সে টাকা ছিনতাই করে নেয়,অন্যটি হলো সোনারামপুরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ছিনতাই হয়।যা পরে-শাহিন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রফাদফা হয় বরে জানা গেছে।
৩য় ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি।অভিযোগকারী সেই রহিম বাদশা।তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কানাইনগরের আনোয়ার-টুটুল গং তার জমি কেনার জন্য ঢাকা থেকে আনার সময় ১৫ লাখ টাকা সন্ধ্যার সময় ছিনিয়ে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে তদন্ত ও বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে,বিদেশে থেকে ৬ ব্যক্তির টাকা পাঠায় হুন্ডির মাধ্যমে। যা গত বৃহস্পতিবার রহিম বাদশা ঢাকা থেকে নিয়ে আসে।

অভিযোগ রয়েছে তিনি ঢাকার টাকা ঢাকায়-ই রেখে আসেন।কারন,তার ধার দেনা ছিলো প্রচুর।সেটাকা শোধ করার চাপ ছিলো।তিনি ফন্দি করেন,ছিনতাইকারী নিয়ে গেছে-এমন অজুহাত সৃষ্টি করে প্রাপকের কাছ থেকে সহানুভতিশীল ক্ষমা  পেয়ে যাবেন।ভিন্নসূত্র জানায়,টাকা ছিনতাই হয় ঠিকই।কিন্তু সে টাকা আনোয়ার-টুটুল গং নয়।তাদের এন্ট্রি পার্টি হিসেবে এলাকায় পরিচিত ‘অহিদ-ফকরুল’গ্রুপ, রহিম বাদশাকে দিয়ে শত্রুতাবশত: আনোয়ার-টুটুলের নাম বলায় ফাসানোর জন্য।যা ছিলো ছিনতাই-নামে নাটক।

তারমানে রহিম মিয়া এক চোর।হুন্ডিকারবারি।তার কাছ থেকে বাটপাড়ি করে টাকা নিয়ে গেলো অহিদ-ফকরুল।
এই বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো.নিজামউদ্দিন বলেন,টাকা ছিনতাইয়ের মৌখিক অভিযোগ করে রহিম বাদশা।আবার,নজরুল চেয়ারম্যান বলেছেন-রহিম বাদশা চিহ্নিত হুন্ডি ব্যবসায়ী।বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি’।