ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ড্রেজারের বালুকে কেন্দ্র সেংর্ঘষ, বাবা-ছেলেসহ টেঁটাবিদ্ধ ৭

ফয়সাল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে টপ টেররখ্যাত ইকবাল বাহিনীর হামলায় বাবা-ছেলে টেঁটাবিদ্ধসহ একই পরিবারের চারজনসহ মোট ৭ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেলে উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন কালা মিয়া (৬০), তার ছেলে সুমন মিয়া (৩৫), পারুল বেগম (২৫), আনোয়ারা বেগম (৫০)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কালা মিয়া ও ছেলে সুমন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।অন্যরা মামলার ভয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেয়ায় নাম জানা যায়নি। পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলি মিয়ার সঙ্গে উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইকবাল মিয়ার তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কালা মিয়ার ছেলে তপুর সঙ্গে ইকবাল গ্রুপের কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনায় ইকবালের লোকজন তপুকে ধাওয়া করে। এ সময় তপুর বাবা কালা মিয়ার বড় ভাই সুমন মিয়া, মা আনোয়ারা ও বোন পারুল বেগম এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের হামলায় কালা মিয়া, সুমন মিয়াসহ ৭জন টেঁটাবিদ্ধ হয়। আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

আহত ইউপি সদস্য অলি মিয়া জানান, ইকবালের নেতৃত্বে তার বাহিনী ককটেল ফাটিয়ে গুলি করে কালা মিয়া ও তার ছেলে সুমনকে টেঁটাবিদ্ধ করে। বালুর ব্যবসা নিয়ে ইকবালের সঙ্গে আমার বিরোধ রয়েছে। কালা মিয়া ও সুমনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ সালাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান,-বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বাঞ্ছারামপুরে ড্রেজারের বালুকে কেন্দ্র সেংর্ঘষ, বাবা-ছেলেসহ টেঁটাবিদ্ধ ৭

আপডেট সময় ১২:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯
ফয়সাল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে টপ টেররখ্যাত ইকবাল বাহিনীর হামলায় বাবা-ছেলে টেঁটাবিদ্ধসহ একই পরিবারের চারজনসহ মোট ৭ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেলে উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন কালা মিয়া (৬০), তার ছেলে সুমন মিয়া (৩৫), পারুল বেগম (২৫), আনোয়ারা বেগম (৫০)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কালা মিয়া ও ছেলে সুমন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।অন্যরা মামলার ভয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেয়ায় নাম জানা যায়নি। পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলি মিয়ার সঙ্গে উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইকবাল মিয়ার তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কালা মিয়ার ছেলে তপুর সঙ্গে ইকবাল গ্রুপের কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনায় ইকবালের লোকজন তপুকে ধাওয়া করে। এ সময় তপুর বাবা কালা মিয়ার বড় ভাই সুমন মিয়া, মা আনোয়ারা ও বোন পারুল বেগম এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের হামলায় কালা মিয়া, সুমন মিয়াসহ ৭জন টেঁটাবিদ্ধ হয়। আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

আহত ইউপি সদস্য অলি মিয়া জানান, ইকবালের নেতৃত্বে তার বাহিনী ককটেল ফাটিয়ে গুলি করে কালা মিয়া ও তার ছেলে সুমনকে টেঁটাবিদ্ধ করে। বালুর ব্যবসা নিয়ে ইকবালের সঙ্গে আমার বিরোধ রয়েছে। কালা মিয়া ও সুমনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ সালাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান,-বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।