ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে দুই প্রতিবন্ধীর সংসারের গল্প

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলায় প্রতিবন্ধী দম্পত্তির সন্ধান মিলেছে।তাদের সংসারে রয়েছে একটি ফুটফুটে মেয়ে শিশু পায়েল (৪)।অভাবের তাড়নায় প্রতিবন্ধী দম্পত্তি শেফালী ও উজ্জল ঘর হতে খাবারের খোজে বের হলে,তবেই এলাকাবাসী তাদের দেখতে পায়।এতোদিন তারা সামাজিক লোক-লজ্জার কারনে প্রকাশ্যে আসেনি বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে আজ রবিবার উপজেলার মধ্যপাড়ায় গেলে দেখা যায়, শিশু পায়েল খাবারের জন্য কাঁদছিলো। প্রতিবন্ধী উজ্জ্বল মুখে কিছু বলতে না পারলেও স্ত্রী শেফালী জানায়, অর্থাভাবে গতকাল রাতে ৩ জনে আধপেট খেয়ে ঘুমান।ঘড়ে চাল-ডাল-নুঁন কিছুই নেই।ফলে,সকালে হন্যি হয়ে এবাড়ি-সেবাড়ি করছে বাচ্চাটির জন্য দুটি রুটি জোগারের জন্য।

উজ্জল কুমার দাস (৩০)।সঠিক চিকিৎসার অভাবে ১০ বছর আগে বাক ও চলন শক্তি হারায়।৫ বছর আগে বিয়ে হয় শেফালী দাসের (২১)সাথে।শেফালী-কুঁজো এবং একটি পা অসাড়। বসবাস করছে অন্যের দয়ায় একটি ছোট্র এক রুমের ঘরে।
কিভাবে সংসার চলে জানতে চাইলে শেফালী জানায়,-‘একটি ভাঙ্গা সেলাই মেশিন তাদের একমাত্র অবলম্বন। সেলাইয়ের কাজ জানা থাকায় বাম পা কাজ না করলেও ডান পা দিয়ে সেলাইয়ের কাজ করে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে।’
জানা গেছে, ৩দিন যাবত কোন কাজের অর্ডার নেই,তো-ঘড়ের চুলাও বন্ধ। অন্যদিকে মড়াঁর উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে, সেলাই মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের টাকা পর্যন্ত নেই পরিবারটির কাছে। জানা গেছে,হিন্দু সম্প্রদায়ের বিধায় তারা ভিক্ষে করতে যেতে পারছে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

বাঞ্ছারামপুরে দুই প্রতিবন্ধীর সংসারের গল্প

আপডেট সময় ০৩:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলায় প্রতিবন্ধী দম্পত্তির সন্ধান মিলেছে।তাদের সংসারে রয়েছে একটি ফুটফুটে মেয়ে শিশু পায়েল (৪)।অভাবের তাড়নায় প্রতিবন্ধী দম্পত্তি শেফালী ও উজ্জল ঘর হতে খাবারের খোজে বের হলে,তবেই এলাকাবাসী তাদের দেখতে পায়।এতোদিন তারা সামাজিক লোক-লজ্জার কারনে প্রকাশ্যে আসেনি বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে আজ রবিবার উপজেলার মধ্যপাড়ায় গেলে দেখা যায়, শিশু পায়েল খাবারের জন্য কাঁদছিলো। প্রতিবন্ধী উজ্জ্বল মুখে কিছু বলতে না পারলেও স্ত্রী শেফালী জানায়, অর্থাভাবে গতকাল রাতে ৩ জনে আধপেট খেয়ে ঘুমান।ঘড়ে চাল-ডাল-নুঁন কিছুই নেই।ফলে,সকালে হন্যি হয়ে এবাড়ি-সেবাড়ি করছে বাচ্চাটির জন্য দুটি রুটি জোগারের জন্য।

উজ্জল কুমার দাস (৩০)।সঠিক চিকিৎসার অভাবে ১০ বছর আগে বাক ও চলন শক্তি হারায়।৫ বছর আগে বিয়ে হয় শেফালী দাসের (২১)সাথে।শেফালী-কুঁজো এবং একটি পা অসাড়। বসবাস করছে অন্যের দয়ায় একটি ছোট্র এক রুমের ঘরে।
কিভাবে সংসার চলে জানতে চাইলে শেফালী জানায়,-‘একটি ভাঙ্গা সেলাই মেশিন তাদের একমাত্র অবলম্বন। সেলাইয়ের কাজ জানা থাকায় বাম পা কাজ না করলেও ডান পা দিয়ে সেলাইয়ের কাজ করে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে।’
জানা গেছে, ৩দিন যাবত কোন কাজের অর্ডার নেই,তো-ঘড়ের চুলাও বন্ধ। অন্যদিকে মড়াঁর উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে, সেলাই মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের টাকা পর্যন্ত নেই পরিবারটির কাছে। জানা গেছে,হিন্দু সম্প্রদায়ের বিধায় তারা ভিক্ষে করতে যেতে পারছে না।