ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের কানাইনগর ঈদগা মোড়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল যোগে রীতিমতো ফিল্মী ষ্টাইলে ১৫ লাখ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছিনতাইকারীরা ক্ষতিগ্রস্থের পূর্বের পরিচিত ও বিভিন্ন ফৌজদারী মামলার আসামী ও দূধর্ষ হওয়ায় ছিনতাইকারীদের নামে থানায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন টাকার মালিক বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নের খোষকান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে আ.রহিম মিয়া।
তিনি আজ রাতে বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলা আমেনা প্লাজাস্থ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কার্য্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান,-আগামী রবিবার আমার জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য ঢাকার এক আত্বীয়ের কাছ থেকে ধারে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে কড়িকান্দি ফেরীঘাট হয়ে ইঞ্জিনচালিত রিক্সাযোগে নিজ বাড়ি হতে ফেরীঘাট হতে আসছিলেন।পথিমধ্যে কানাইনগর নজরুল চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছাকাছি আসা মাত্র পূর্ব পরিচিত ও নরসিংদী থানার জাল টাকার জামিনপ্রাপ্ত আসামী অদুদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার,বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রশিদকারীর ছেলে মো.হাফিজুল ও অপরিচিত আরেক যুবক মোটর সাইকেলযোগে আকষ্মিকভাবে আমার রিক্সার গতিরোধ করে।টাকা রক্ষিত ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে।টাকা না দিলে কিল-ঘুষি দিলে এক পর্যায়ে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আ.রহিম ও তার স্বজনরা জানান,ছিনতাইকারীরা এলাকায় দূর্ধর্ষ হিসেবে পরিচিতি।প্রভাবশালী।তারপরেও তাদের কাছে টাকা ফেরত নেওয়া ও বিচার চাইতে উক্ত ইউপির চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম।তারা সবাই একজোট হয়ে জানায় থানায় মামলা বা বেশী বাড়াবাড়ি করলে শেষ করে দেবে।এই ‘জীবনের’ আশংকায় থানার কাছাকাছি এসেও মামলা না করে ফেরত যাচ্ছি।কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
অভিযোগ জেনে অভিযুক্ত আনোয়ার ও হাফিজুলের অনুসন্ধান করে তাদের পাওয়া যায় নি।মডেল থানা পুলিশ জানায়,এই বিষয়ে কেউ মামলা করতে আসেনি,তাদের বিষয়টি জানা নেই।
আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে আজ শুক্রবার জানান,-এমন ঘটনা ঘটেছে বলে রহিম বাদশা নামক এক ব্যক্তি আমাকে বলেছে।তবে,বিষয়টি আদৌ সত্য কি-না সেই বিষয়ে খোজ নিচ্ছি।পরে,জানানো হবে’।