ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ফেরীর যাত্রী ছাউনি দখল করে ব্যবসা, দুর্ভোগে যাত্রীরা

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে কড়িকান্দি-বিশনন্দী ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাট দিয়েই বাঞ্ছারামপুর উপজেলাবাসীর ঢাকা যাতায়ত। এই ঘাটের ফেরিতে থাকা যাত্রী ছাউনিই এখন হয়ে ওঠেছে যাত্রীদের বিষফোঁড়া।

আজ শুক্রবার ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো বৃদ্ধ রাশিদা আক্তার।পা ভেঙে গেছে।কিন্তু, দোকানের ছাউনিতে জায়গা সংকটের  কারনে তার বসার ঠাই হয়নি।

আরেক বৃদ্ধ সিরাজ মিয়া (৭৫) কুয়াশার পানিতে ভিজে একাকার। কিন্তু ছাউনির যে সামান্য টুকু বসার বেঞ্চ অবশিষ্ট, তাতে তিনি দখল নিতে পারেননি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি পারাপারের সময় সাধারণ মানুষকে দাঁড়াতে হচ্ছে যাত্রী ছাউনির বাহিরে। এই ছাউনি দখল করে আছে বেশ কিছু দোকান। সেখানে গুটি কয়েক মানুষের ঠাঁই মিললেও বেশিভাগ মানুষেরই থাকতে হচ্ছে খোলা অংশে। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশু,নারী ও বৃদ্ধদের। তীব্র রোদে একটু ছায়া শীতল আশ্রয় নেই যাত্রীদের। বৃষ্টি এলেও ভিজে যাওয়া অবধারিত। প্রতিনিয়ত এমন ভোগান্তি নিয়েই শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছে এই ফেরি দিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ভোগান্তির কথা হরহামেশাই বলছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, ফেরিতে থাকা যাত্রী ছাউনিতে দোকান থাকার কারণেই এমন সব ভোগান্তি। জানান,দোকানগুলোতে প্রতিটি পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ রাখা হয়।পরিবেশ নোংরা।

ফেরীর ইজারাদার শামসুল হকের সাথে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

বাঞ্ছারামপুরে ফেরীর যাত্রী ছাউনি দখল করে ব্যবসা, দুর্ভোগে যাত্রীরা

আপডেট সময় ০৩:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে কড়িকান্দি-বিশনন্দী ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাট দিয়েই বাঞ্ছারামপুর উপজেলাবাসীর ঢাকা যাতায়ত। এই ঘাটের ফেরিতে থাকা যাত্রী ছাউনিই এখন হয়ে ওঠেছে যাত্রীদের বিষফোঁড়া।

আজ শুক্রবার ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো বৃদ্ধ রাশিদা আক্তার।পা ভেঙে গেছে।কিন্তু, দোকানের ছাউনিতে জায়গা সংকটের  কারনে তার বসার ঠাই হয়নি।

আরেক বৃদ্ধ সিরাজ মিয়া (৭৫) কুয়াশার পানিতে ভিজে একাকার। কিন্তু ছাউনির যে সামান্য টুকু বসার বেঞ্চ অবশিষ্ট, তাতে তিনি দখল নিতে পারেননি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি পারাপারের সময় সাধারণ মানুষকে দাঁড়াতে হচ্ছে যাত্রী ছাউনির বাহিরে। এই ছাউনি দখল করে আছে বেশ কিছু দোকান। সেখানে গুটি কয়েক মানুষের ঠাঁই মিললেও বেশিভাগ মানুষেরই থাকতে হচ্ছে খোলা অংশে। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশু,নারী ও বৃদ্ধদের। তীব্র রোদে একটু ছায়া শীতল আশ্রয় নেই যাত্রীদের। বৃষ্টি এলেও ভিজে যাওয়া অবধারিত। প্রতিনিয়ত এমন ভোগান্তি নিয়েই শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছে এই ফেরি দিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ভোগান্তির কথা হরহামেশাই বলছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, ফেরিতে থাকা যাত্রী ছাউনিতে দোকান থাকার কারণেই এমন সব ভোগান্তি। জানান,দোকানগুলোতে প্রতিটি পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ রাখা হয়।পরিবেশ নোংরা।

ফেরীর ইজারাদার শামসুল হকের সাথে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।