ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির নবীন ও প্রবীন নেতার মধ্যে যুদ্ধ জমে ওঠেছে মনোনয়ন যুদ্ধ

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে সক্রিয় তরুন কৃষিবিদ ও তরুণ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান পলাশ (৩৫)।

অন্যদিকে,প্রবীন রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি,কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এম.এ খালেকের (৭৪) মধ্যে কার হাতে ধানের শীষ নিরাপদ কিংবা কে হারানো আসন ফিরিয়ে আনতে পারবেন আওয়ামীলীগের মতো শক্তিশালী দল ও প্রার্থীর সাথে টক্কর দিয়ে এ নিয়ে দিন রাত বাজারে,মহল্লায় বা চা ষ্টলে চলছে কানাঘুষা।চলছে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক। ঝড় উঠেছে ফেসবুকে।নবীনে ধানের শীষ না প্রবীনে বিএনপির হালধরা হবে-এই নিয়ে গুঞ্জন।

গত ৩০ এপ্রিল ফরদাবাদ বিএনপির (একাংশ) সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএখালেককে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করলে তোলপাড় শুরু হয়, রাজনীতিতে আড়ালে থাকা উপজেলা বিএনপি।অভিযোগ রয়েছে বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া ও ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনীতির কারনে তিনি এ যাবত কোন কমিটি পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে পারেনি।ফলে,ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগ দিন কি দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,তাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি শেষবারের মতো ক্ষমতায়(২০০১-২০০৬) থাকাকালীন ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা।

এদিকে,নতুন ভোটার,নারী ও বয়স্ক ভোটারদের ইতোমধ্যে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বেশ সাড়া ফেলেছেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য। পলাশ জানায়-‘শুধু মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নয়, উপজেলা বিএনপির বেহাল দশা দূর করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন তিনি। এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি কোন্দলে টুকরো টুকরো। আর এ সুযোগে এখানে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে।’

এ আসনে ৪ জন বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মেহেদী হাসান পলাশই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নানা কারনে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের তিনি চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রায় সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। গত এক বছরে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে বাঞ্ছারামপুরে তরুণ এ নেতা শক্ত ভিত করে নিয়েছেন। ছাত্রজীবনে পলাশ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে স¤পৃক্ত ছিলেন। উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিনি।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির তিনবারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জনপ্রিয় নেতা ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম ৯৪ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বনদ্বী বিএনপি মনোনীত আবদুল খালেক পান ৫৮ হাজার ৭৯৪ ভোট। পরাজয়ের পর আবদুল খালেক বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে দূরে সরে যান।

বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সহসভাপতি মো.নাজির হোসেন বলেন,-‘গত ৮ বছর বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির কোনো সাংগঠনিক কর্মকান্ড নেই বললেই চলে।যাই আছে,তাতে এক নেতা উপস্থিত থাকলে,আরেক নেতা আসেন না। ফলে নেতাকেন্দ্রিক বিএনপি কারো কাম্য হতে পারে না।তাই কবির ভাষায় বলতে হয়,-ওরে কাঁচা..তুই আধ মড়াঁদের বাচা’।

মেহেদী হাসান পলাশের বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে।এখনো অবিবাহিত। তিনি ১৯৯৭ সালে হোমনা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৯ সালে হোমনা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সদস্য, বাঞ্ছারামপুর ব্লাড জোনের প্রধান উপদেষ্টা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রছাত্রী মৈত্রী সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সুজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর গ্রিন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া,বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনার নিয়মিত করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে,দলের নির্দেশে কৃষিবিদ পলাশ সম্প্রতি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও স্থগিত হয়ে যাওয়া গাজীপুর সিটি কর্পো: নির্বাচনে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে নিজ খরচে দিনরাত ভোটারদের ঘরে ঘরে ধানের শীষে ভোট চেয়ে গনসংযোগ করছেন বলে জানা গেছে।

সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ খালেক বলেন,-‘পুরান চালে ভাত বাড়ে।রাজনীতিতে অবস্থান ও অভিজ্ঞতা দরকার।সেটি আমার আছে।আমার কিছুদিন আগে চোঁেখ অপারেশন হয়েছে।শরীর তেমন ভাল নয়।তবুও,গাজিপুর সিটি কর্পো.নির্বাচনে সক্রিয় থাকবো।দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।আর,দলে মান অভিমান থাকবেই।সব ঠিক হয়ে যাবে’।
খুলনা থেকে আজ মোবাইলে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর বিএনপির রাজনীতি গতিশীল করতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। সাধ্যমতো ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, আমার কর্মকান্ডের দিক বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আমি বাঞ্ছারামপুরের আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চাই।মনোনয়নের জন্য আমি বিএনপি করি না।তবে,মনোনয়ন না পেলেও যিনি মনোনয়ন পাবেন তার জন্য জান-প্রান দিয়ে দলের স্বার্থে কাজ করে যাবো,অবিরাম।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির নবীন ও প্রবীন নেতার মধ্যে যুদ্ধ জমে ওঠেছে মনোনয়ন যুদ্ধ

আপডেট সময় ০৬:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মে ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে সক্রিয় তরুন কৃষিবিদ ও তরুণ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান পলাশ (৩৫)।

অন্যদিকে,প্রবীন রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি,কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এম.এ খালেকের (৭৪) মধ্যে কার হাতে ধানের শীষ নিরাপদ কিংবা কে হারানো আসন ফিরিয়ে আনতে পারবেন আওয়ামীলীগের মতো শক্তিশালী দল ও প্রার্থীর সাথে টক্কর দিয়ে এ নিয়ে দিন রাত বাজারে,মহল্লায় বা চা ষ্টলে চলছে কানাঘুষা।চলছে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক। ঝড় উঠেছে ফেসবুকে।নবীনে ধানের শীষ না প্রবীনে বিএনপির হালধরা হবে-এই নিয়ে গুঞ্জন।

গত ৩০ এপ্রিল ফরদাবাদ বিএনপির (একাংশ) সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএখালেককে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করলে তোলপাড় শুরু হয়, রাজনীতিতে আড়ালে থাকা উপজেলা বিএনপি।অভিযোগ রয়েছে বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া ও ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনীতির কারনে তিনি এ যাবত কোন কমিটি পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে পারেনি।ফলে,ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগ দিন কি দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,তাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি শেষবারের মতো ক্ষমতায়(২০০১-২০০৬) থাকাকালীন ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা।

এদিকে,নতুন ভোটার,নারী ও বয়স্ক ভোটারদের ইতোমধ্যে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বেশ সাড়া ফেলেছেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য। পলাশ জানায়-‘শুধু মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নয়, উপজেলা বিএনপির বেহাল দশা দূর করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন তিনি। এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি কোন্দলে টুকরো টুকরো। আর এ সুযোগে এখানে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে।’

এ আসনে ৪ জন বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মেহেদী হাসান পলাশই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নানা কারনে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের তিনি চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রায় সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। গত এক বছরে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে বাঞ্ছারামপুরে তরুণ এ নেতা শক্ত ভিত করে নিয়েছেন। ছাত্রজীবনে পলাশ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে স¤পৃক্ত ছিলেন। উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিনি।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির তিনবারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জনপ্রিয় নেতা ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম ৯৪ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বনদ্বী বিএনপি মনোনীত আবদুল খালেক পান ৫৮ হাজার ৭৯৪ ভোট। পরাজয়ের পর আবদুল খালেক বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে দূরে সরে যান।

বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সহসভাপতি মো.নাজির হোসেন বলেন,-‘গত ৮ বছর বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির কোনো সাংগঠনিক কর্মকান্ড নেই বললেই চলে।যাই আছে,তাতে এক নেতা উপস্থিত থাকলে,আরেক নেতা আসেন না। ফলে নেতাকেন্দ্রিক বিএনপি কারো কাম্য হতে পারে না।তাই কবির ভাষায় বলতে হয়,-ওরে কাঁচা..তুই আধ মড়াঁদের বাচা’।

মেহেদী হাসান পলাশের বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে।এখনো অবিবাহিত। তিনি ১৯৯৭ সালে হোমনা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৯ সালে হোমনা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সদস্য, বাঞ্ছারামপুর ব্লাড জোনের প্রধান উপদেষ্টা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রছাত্রী মৈত্রী সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সুজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর গ্রিন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া,বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনার নিয়মিত করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে,দলের নির্দেশে কৃষিবিদ পলাশ সম্প্রতি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও স্থগিত হয়ে যাওয়া গাজীপুর সিটি কর্পো: নির্বাচনে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে নিজ খরচে দিনরাত ভোটারদের ঘরে ঘরে ধানের শীষে ভোট চেয়ে গনসংযোগ করছেন বলে জানা গেছে।

সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ খালেক বলেন,-‘পুরান চালে ভাত বাড়ে।রাজনীতিতে অবস্থান ও অভিজ্ঞতা দরকার।সেটি আমার আছে।আমার কিছুদিন আগে চোঁেখ অপারেশন হয়েছে।শরীর তেমন ভাল নয়।তবুও,গাজিপুর সিটি কর্পো.নির্বাচনে সক্রিয় থাকবো।দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।আর,দলে মান অভিমান থাকবেই।সব ঠিক হয়ে যাবে’।
খুলনা থেকে আজ মোবাইলে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর বিএনপির রাজনীতি গতিশীল করতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। সাধ্যমতো ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, আমার কর্মকান্ডের দিক বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আমি বাঞ্ছারামপুরের আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চাই।মনোনয়নের জন্য আমি বিএনপি করি না।তবে,মনোনয়ন না পেলেও যিনি মনোনয়ন পাবেন তার জন্য জান-প্রান দিয়ে দলের স্বার্থে কাজ করে যাবো,অবিরাম।