ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে মেঘনায় মাছের ঘের দিয়ে নদী দখল

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিতাস,পাশ^বর্তী আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদীসহ নরসিংদীর নজরপুর ইউনিয়নের মেঘনাসহ নদীতে অবৈধভাবে অন্তত সহ¯্রাধিক মাছের ঘের তৈরি করে নির্বিচারে চলছে রেণু ও মা মাছ শিকার।সেই সাথে চলছে নদী দখল।

দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে মাছ শিকার চললেও স্থানীয় প্রশাসন ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে নদীতে অবৈধভাবে ঘের তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে নৌচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে স্থলপথে মালামাল আনা-নেয়া করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘেরের কচুরিপানা পঁচে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ায় মেঘনা-তিতাসপাড়ের মানুষ গোসল ও রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছেন না।নদীর পাশাপাশি সেখানে ডুবোচর বানিয়ে জায়গাও দখল করছে।ফলে নদীর নাব্যতা বিনষ্ট হচ্ছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,স্বাধীনতার পর থেকে এদত অঞ্চলে মোংলা নদী বন্দর হতে মেঘনা অববাহিকার নৌপথে আশুগঞ্জ নৌবন্দর পর্যন্ত নৌযান সমূহ নির্বিঘেœ যাতায়াত করতো।কিন্তু,বছর বিশেক ধরে নরসিংদীর দিলারপুর মৌজা (নজরপুর ইউপি) হতে বাঞ্ছারামপুর-আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পর্যন্ত মাছের ঘের দিয়ে নৌপথ দখল করে নেয় এক শ্রেণীর ভূমিদস্যূ।জানা গেছে,মাছের ঘেরকে রাতারাতি চর বানিয়ে ফেলা হয়।যেনো সেখানে ড্রেজিং করা না যায়।

এসব অবৈধ ঘের মালিকরা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তা এসব ঘের মালিকদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিক ও নরসিংদীর নজরপুর দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী থেকে মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হওয়া নদীটি এককালে ছিল প্রচন্ড খরস্রোতা। এক সময়কার ড্রাগন বলে খ্যাত মেঘনা নদী এখন অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রবীণরা।

সময়ের ব্যবধানে নাব্য হারিয়ে ক্রমশ মরা খালে পরিণত হচ্ছে মেঘনা নদী। নদীর এই নাব্য হারানোর নেপথ্যে নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা অন্যতম কারণ। নদীর বিভিন্ন অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত সহ¯্রাধিক অবৈধ মৎস্য ঘের রয়েছে। প্রভাবশালীরা নদীতে গণহারে ঘের দিয়ে মাছ ধরছেন।এলাকাবাসী অবিলম্বে এই ঘের মালিকদের উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

বাঞ্ছারামপুরে মেঘনায় মাছের ঘের দিয়ে নদী দখল

আপডেট সময় ০৬:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিতাস,পাশ^বর্তী আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদীসহ নরসিংদীর নজরপুর ইউনিয়নের মেঘনাসহ নদীতে অবৈধভাবে অন্তত সহ¯্রাধিক মাছের ঘের তৈরি করে নির্বিচারে চলছে রেণু ও মা মাছ শিকার।সেই সাথে চলছে নদী দখল।

দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে মাছ শিকার চললেও স্থানীয় প্রশাসন ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে নদীতে অবৈধভাবে ঘের তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে নৌচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে স্থলপথে মালামাল আনা-নেয়া করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘেরের কচুরিপানা পঁচে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ায় মেঘনা-তিতাসপাড়ের মানুষ গোসল ও রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছেন না।নদীর পাশাপাশি সেখানে ডুবোচর বানিয়ে জায়গাও দখল করছে।ফলে নদীর নাব্যতা বিনষ্ট হচ্ছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,স্বাধীনতার পর থেকে এদত অঞ্চলে মোংলা নদী বন্দর হতে মেঘনা অববাহিকার নৌপথে আশুগঞ্জ নৌবন্দর পর্যন্ত নৌযান সমূহ নির্বিঘেœ যাতায়াত করতো।কিন্তু,বছর বিশেক ধরে নরসিংদীর দিলারপুর মৌজা (নজরপুর ইউপি) হতে বাঞ্ছারামপুর-আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পর্যন্ত মাছের ঘের দিয়ে নৌপথ দখল করে নেয় এক শ্রেণীর ভূমিদস্যূ।জানা গেছে,মাছের ঘেরকে রাতারাতি চর বানিয়ে ফেলা হয়।যেনো সেখানে ড্রেজিং করা না যায়।

এসব অবৈধ ঘের মালিকরা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তা এসব ঘের মালিকদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিক ও নরসিংদীর নজরপুর দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী থেকে মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হওয়া নদীটি এককালে ছিল প্রচন্ড খরস্রোতা। এক সময়কার ড্রাগন বলে খ্যাত মেঘনা নদী এখন অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রবীণরা।

সময়ের ব্যবধানে নাব্য হারিয়ে ক্রমশ মরা খালে পরিণত হচ্ছে মেঘনা নদী। নদীর এই নাব্য হারানোর নেপথ্যে নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা অন্যতম কারণ। নদীর বিভিন্ন অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত সহ¯্রাধিক অবৈধ মৎস্য ঘের রয়েছে। প্রভাবশালীরা নদীতে গণহারে ঘের দিয়ে মাছ ধরছেন।এলাকাবাসী অবিলম্বে এই ঘের মালিকদের উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।