ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (বি-বাড়িয়া) থেকেঃ
ব্রাক্ষনবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলতের কদমতুলি গ্রামে শুক্রবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৪’শ টাকার পুরাতন মোবাইল বন্ধক দায়ে এক শালিস ও শালিস পরবর্তী রায়কে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটে।
এক পর্যায়ে দু দল গ্রামবাসী দুপক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এতে ৫জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।আহত হলো খুরশিদ মিয়া,হানিফ মেম্বার,করিম মিয়া, কামাল ও নুরু মিয়া।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি গ্রামের মো. মিলন মিয়া মাস দুয়েক আগে পাশর্^বর্তী কদমতুলি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কাছে ৪’শ টাকায় একটি মোবাইল বন্ধক রাখে।বন্ধকী মোবাইলটি ২ মাস পরে বিক্রি করে দিলে মিলন মিয়ার সাথে গত শুক্রবার তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়।সে সময় মিলন কে বেধে মারধর করে।এ নিয়ে আজ শনিবার দুই গ্রামের মুরুব্বী ও জনপ্রতিনিধিরা সামাজিক বৈঠকে বসে উভয়কে সমঝোদায় আনার উদ্যোগ নেয়া হলেও ঘটনা ঘটে উল্টো।বৈঠকে তর্ক-বিতর্ক নিয়ে বচসা শুরু পাহাড়িয়াকান্দি ও কদমতুলী গ্রামের জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এতে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।আহতরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় বলে জানা গেছে।এই নিয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি।
বৈঠকে উপস্থিত পাহাড়িয়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান গাজী সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,-‘আমি রফিক মাষ্টার,জাকির হুসেন,মান্নান মাষ্টার,অপু,খুরশিদ,হানিফ,মেম্বার,মুরশিদসহ দু গ্রামের অন্যান্যরা বৈঠকে বসি।বৈঠকে উপস্থিত জনতা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করলে তা এক পর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেয়।সংঘর্ষ থামাতে যেয়ে নিজেরাও নাজেহাল হই।আমি সংঘর্ষ না থামালে হতাহতের ঘটনা বেশী ঘটতো।’
এই বিষয়ে প্রতিপক্ষ কদমতুলির আওয়ামীলীগ নেতা অপু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,-‘পাহাড়িয়াকান্দি গ্রামের লোকজন আমাদের এখানে এসেছে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দেয়ার জন্য।কিন্তু তারা বিরুপ ও নেতিবাচক মনমানসিকতা নিয়ে আমাদের শাসিয়ে মারধোর করে।সবই হয় গাজী চেয়ারম্যানের নির্দেশে।’