ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে লবন নিয়ে তুলকালাম! মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ধকল কাটতে না কাটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউপির সর্বত্র চলছে লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাই লবণ কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। আর এতে তৈরি হচ্ছে নানা বিশৃঙ্খলা।

মঙ্গলবার পৌর এলাকার চকবাজারে বিকাল থেকে লবণ কেনার ধুম পড়েছে।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রাত ৭.৩০মি:) মূদি দোকানে চলছে হুলুস্থুল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক গুজব বলে মাইকিং শুরু করে।

বিকেলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে দেখা গেছে ৫ থেকে ১০ কেজি করে লবন অধিক দামে কিনে নিয়ে যেতে।আর এতে দোকানীরা ঝুপ বুঝে কূপ মারে।৩০ টাকা কেজির লবন বিক্রি করেন ৬০ হতে ৭০ টাকা কেজিতে।মোবাইলে মূহুর্তে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লবন কেনা নিয়ে রাতেও ক্রেতাদের লবনের দোকানে ভীড় করতে দেখা গেছে।

এদিকে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজবে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.নিজাম উদ্দিন সারোয়ার বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালান।

এসময় লবন ব্যবসায়ী পৌর এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে ইয়ামিনকে দ্বিগন দামে লবন বিক্রী করায় নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এরপর তিনি সব ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয়। জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি (ইউএনও)জানান, লবণের দাম বাড়েনি। এটা একটা গুজব। যারা এ গুজব রটাবে বা কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য মজুত রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাইকারী লবন ব্যবসায়ীদের মধ্যে সদর এলাকার আনিছ মিয়া জানান,-‘এটা ¯্রফে গুজব ছিলো।লবনের দাম বাড়েনি।অসাধূ কিছু ব্যবসায়ী গুজবের সুযোগটি নিয়ে ৩ ঘন্টায় লাখ টাকা কামিয়েছে।কিছু পাবলিকও বোকা।আমি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছি’।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

বাঞ্ছারামপুরে লবন নিয়ে তুলকালাম! মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

আপডেট সময় ০১:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ধকল কাটতে না কাটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউপির সর্বত্র চলছে লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাই লবণ কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। আর এতে তৈরি হচ্ছে নানা বিশৃঙ্খলা।

মঙ্গলবার পৌর এলাকার চকবাজারে বিকাল থেকে লবণ কেনার ধুম পড়েছে।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রাত ৭.৩০মি:) মূদি দোকানে চলছে হুলুস্থুল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক গুজব বলে মাইকিং শুরু করে।

বিকেলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে দেখা গেছে ৫ থেকে ১০ কেজি করে লবন অধিক দামে কিনে নিয়ে যেতে।আর এতে দোকানীরা ঝুপ বুঝে কূপ মারে।৩০ টাকা কেজির লবন বিক্রি করেন ৬০ হতে ৭০ টাকা কেজিতে।মোবাইলে মূহুর্তে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লবন কেনা নিয়ে রাতেও ক্রেতাদের লবনের দোকানে ভীড় করতে দেখা গেছে।

এদিকে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজবে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.নিজাম উদ্দিন সারোয়ার বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালান।

এসময় লবন ব্যবসায়ী পৌর এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে ইয়ামিনকে দ্বিগন দামে লবন বিক্রী করায় নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এরপর তিনি সব ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয়। জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি (ইউএনও)জানান, লবণের দাম বাড়েনি। এটা একটা গুজব। যারা এ গুজব রটাবে বা কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য মজুত রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাইকারী লবন ব্যবসায়ীদের মধ্যে সদর এলাকার আনিছ মিয়া জানান,-‘এটা ¯্রফে গুজব ছিলো।লবনের দাম বাড়েনি।অসাধূ কিছু ব্যবসায়ী গুজবের সুযোগটি নিয়ে ৩ ঘন্টায় লাখ টাকা কামিয়েছে।কিছু পাবলিকও বোকা।আমি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছি’।