ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃষকরা লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।অনেকে বনে গেছেন লাখপতি। ফলে একের সাফল্যে অন্যরা উৎসাহিত হয়ে লাউ চাষ করছেন। এতে বাড়ছে লাউয়ের চাষাবাদ। অল্প খরচে বেশি মুনাফা হওয়ায় লাউ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার দরিকান্দি ইউপির ইমামনগর গ্রামের রাজিব মিয়া লাউ চাষ করে নিজের অভাব ঘুঁচিয়েছেন। পাশাপাশি অন্যদের লাউ চাষে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। কৃষক রাজিব তার ভাইকে নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারো মাত্র ১৫ শতক জমিতে লাউয়ের চারা রোপণ করেন।তার অল্প জমিতে লাউ ধরা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকার আগাম লাউ বিক্রি করেছেন।গত বছর বিক্রি করেছিলো ৯০ হাজার টাকা।এবছর লাখ টাকার বেশী বিক্রি করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, লাউ চাষে গোবর, ছাই, কচুরিপানা ও পানিই প্রধান। এসবের বাইরে রাসায়নিক সারের খুব একটা ভূমিকা নেই বললেই চলে। তাই এক বিঘা জমিতে লাউ চাষে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় না। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাউ চাষে শ্রমও তুলনামূলক কম দিতে হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে ভোক্তাদের কাছে লাউয়ের প্রচুর চাহিদা এবং বাজার দর ভালো থাকায় দাম নিয়ে বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া লাউয়ের ডগা বিক্রি করে আসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
সদর উপজেলার বাগেরহাটি গ্রামের লাউ চাষী মোতালিব মিয়া জানান, লাউ সাধারণত শীতকালীন সবজি হলেও, বর্তমানে শীতের আগে আগাম সবজি হিসেবে লাউ চাষের কদর বেড়েছে। বর্ষার শেষ এবং শীতের শুরুতে কৃষকরা এ লাউ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।