ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে সমাপনী পরীক্ষা না দিয়েও পাশ করলো ৩ শিক্ষার্থী

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা না দিয়েই তিন শিক্ষার্থী পাস করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আজ রবিবার এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুর সরকারি আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কদমতুলী স:আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ২ টি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাদবাকী পরীক্ষাগুলো দেয়নি।

আজ ঘটনা জানাজানি হলে এতে হতবাক হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে হতবাক হন চার শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা।

পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- উপজেলার জয়কালিপুর সরকারি আনন্দ স্কুলের শিহাব উদ্দিন,প্রাপ্ত জিপিএ-১.৫৮, একই স্কুলের  ছাত্রী  সাথি আক্তার, প্রাপ্ত জিপিএ-১.৬৬;কদমতুলী সরকারি আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোশরফ হোসেন, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৩৩

এ ফলাফল দেখে হতবাক হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও তাদের অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন। এ নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট স্কুল ২টির প্রধান শিক্ষকসহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.নৌসাদ মাহমুদ।তিনি বলেন,‘আমাদের কোন প্রকার ভুলের কারনে এমনটি ঘটৈনি।আমরা উল্লেখিত ৩ শিক্ষার্থীর ৪টি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির রেকর্ড আমরা পাশ্ববর্তী নবীনগর শিক্ষা অফিসে পরীক্ষার খাতার সাথে পাঠিয়েছিলাম।তারাই এমন গুরুতর ভুল করেছেন’।

নবীনগর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তারা এ বিষয়টি কথা বলতে নারাজ।তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন,- ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।তাদের ফলাফল বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে শিশু সুরক্ষায় ক্যাপিটেশর গ্রান্টপ্রাপ্ত এতিমখানার ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

বাঞ্ছারামপুরে সমাপনী পরীক্ষা না দিয়েও পাশ করলো ৩ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ০১:০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা না দিয়েই তিন শিক্ষার্থী পাস করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আজ রবিবার এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুর সরকারি আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কদমতুলী স:আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ২ টি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাদবাকী পরীক্ষাগুলো দেয়নি।

আজ ঘটনা জানাজানি হলে এতে হতবাক হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে হতবাক হন চার শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা।

পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- উপজেলার জয়কালিপুর সরকারি আনন্দ স্কুলের শিহাব উদ্দিন,প্রাপ্ত জিপিএ-১.৫৮, একই স্কুলের  ছাত্রী  সাথি আক্তার, প্রাপ্ত জিপিএ-১.৬৬;কদমতুলী সরকারি আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোশরফ হোসেন, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৩৩

এ ফলাফল দেখে হতবাক হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও তাদের অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন। এ নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট স্কুল ২টির প্রধান শিক্ষকসহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.নৌসাদ মাহমুদ।তিনি বলেন,‘আমাদের কোন প্রকার ভুলের কারনে এমনটি ঘটৈনি।আমরা উল্লেখিত ৩ শিক্ষার্থীর ৪টি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির রেকর্ড আমরা পাশ্ববর্তী নবীনগর শিক্ষা অফিসে পরীক্ষার খাতার সাথে পাঠিয়েছিলাম।তারাই এমন গুরুতর ভুল করেছেন’।

নবীনগর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তারা এ বিষয়টি কথা বলতে নারাজ।তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন,- ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।তাদের ফলাফল বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’