ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা না দিয়েই তিন শিক্ষার্থী পাস করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আজ রবিবার এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুর সরকারি আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কদমতুলী স:আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ২ টি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাদবাকী পরীক্ষাগুলো দেয়নি।
আজ ঘটনা জানাজানি হলে এতে হতবাক হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে হতবাক হন চার শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা।
পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- উপজেলার জয়কালিপুর সরকারি আনন্দ স্কুলের শিহাব উদ্দিন,প্রাপ্ত জিপিএ-১.৫৮, একই স্কুলের ছাত্রী সাথি আক্তার, প্রাপ্ত জিপিএ-১.৬৬;কদমতুলী সরকারি আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোশরফ হোসেন, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৩৩
এ ফলাফল দেখে হতবাক হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও তাদের অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন। এ নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট স্কুল ২টির প্রধান শিক্ষকসহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.নৌসাদ মাহমুদ।তিনি বলেন,‘আমাদের কোন প্রকার ভুলের কারনে এমনটি ঘটৈনি।আমরা উল্লেখিত ৩ শিক্ষার্থীর ৪টি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির রেকর্ড আমরা পাশ্ববর্তী নবীনগর শিক্ষা অফিসে পরীক্ষার খাতার সাথে পাঠিয়েছিলাম।তারাই এমন গুরুতর ভুল করেছেন’।
নবীনগর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তারা এ বিষয়টি কথা বলতে নারাজ।তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন,- ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।তাদের ফলাফল বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’