ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি স্বামী

সালমা আহমেদ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:

রোববার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল্লা গ্রামের উত্তর-পশ্চিম পাড়ার নির্জন কলাবাগান থেকে বাচ্চুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত বাচ্চু বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর দক্ষিণ পাড়ার মৃত হারিস মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মৃত হারিস মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের তুজু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া ঘনিষ্ঠ সস্পর্ক ছিল। সেই সুযোগে গত দুই বছর ধরে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে রফিকের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। তবুও ফেরানো যায়নি দুজনকে। এতকিছুর পরও রফিকের সঙ্গে বাচ্চুর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়ে যায়।

শনিবার বিকালে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানের জন্য মালামাল কিনতে রফিকের মোটরসাইকেলে চড়ে বাজারে যায় বাচ্চু। রাত ১১টায় বাচ্চুর নিখোঁজের খবর পায় পরিবার।বাচ্চুর বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর ৫/৬ জনকে নিয়ে খোঁজ করতে থাকে বাচ্চুর। এতে যোগ দেয় রফিকও। ভোরে সবাইকে একদিকে পাঠিয়ে রফিক যায় কলাবাগানে।

কিছুক্ষণ পর রফিক জানায়, কেউ একজন তাকে বলেছে কলাবাগানের ভেতরে বাচ্চুর লাশ পড়ে আছে। তখনই সন্দেহ হয় সবার। পরে নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও ঘাতক রফিককে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর বলেন, বাচ্চুর স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়টা গোপন রেখেছিল। বাচ্চুর স্ত্রী ও রফিক মিলেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সাগরের।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাচ্চুকে গলাকেটে করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও অভিযুক্ত যুবক রফিককে আটক করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

বাঞ্ছারামপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি স্বামী

আপডেট সময় ০২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯

সালমা আহমেদ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:

রোববার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল্লা গ্রামের উত্তর-পশ্চিম পাড়ার নির্জন কলাবাগান থেকে বাচ্চুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত বাচ্চু বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর দক্ষিণ পাড়ার মৃত হারিস মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মৃত হারিস মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের তুজু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া ঘনিষ্ঠ সস্পর্ক ছিল। সেই সুযোগে গত দুই বছর ধরে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে রফিকের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। তবুও ফেরানো যায়নি দুজনকে। এতকিছুর পরও রফিকের সঙ্গে বাচ্চুর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়ে যায়।

শনিবার বিকালে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানের জন্য মালামাল কিনতে রফিকের মোটরসাইকেলে চড়ে বাজারে যায় বাচ্চু। রাত ১১টায় বাচ্চুর নিখোঁজের খবর পায় পরিবার।বাচ্চুর বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর ৫/৬ জনকে নিয়ে খোঁজ করতে থাকে বাচ্চুর। এতে যোগ দেয় রফিকও। ভোরে সবাইকে একদিকে পাঠিয়ে রফিক যায় কলাবাগানে।

কিছুক্ষণ পর রফিক জানায়, কেউ একজন তাকে বলেছে কলাবাগানের ভেতরে বাচ্চুর লাশ পড়ে আছে। তখনই সন্দেহ হয় সবার। পরে নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও ঘাতক রফিককে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর বলেন, বাচ্চুর স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়টা গোপন রেখেছিল। বাচ্চুর স্ত্রী ও রফিক মিলেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সাগরের।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাচ্চুকে গলাকেটে করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও অভিযুক্ত যুবক রফিককে আটক করা হয়েছে।