ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ১৩ ইউপির চেয়ারম্যানরা লাপাত্তা। স্থবির সেবা কার্যক্রম

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মেয়রসহ ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সবাই এখনো লাপাত্তা।যাদের ৭জনই বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদের সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবীতে আসীন রয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,লাপাত্তা চেয়ারম্যানরা অফিস করছেন না, পরিষদের কাজকর্মে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।গ্রেফতার হয়েছেন ২জন।তারা হলেন বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে কারারুদ্ধ সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যা.এবি তাজুল ইসলামের ভাগিনা ও উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি ও ছলিমাবাদ ইউপির জালাল মিয়া।
এর আগে পৌর মেয়র বিনা ভোটে নির্বাচিত মেয়র তফাজ্জল হোসেনকে অপসারণ করেছে সরকার। তার জায়গায় ইউএনও কে পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য অফিসার নিয়োগ দেওয়া হলেও পরিষদের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
আত্মগোপনে থাকা ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের বাদবাকী ১১ চেয়ারম্যানরা হলেন সোনারামপুর ইউপির শাহিন আহমেদ,তেজখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান , সদর ইউপি চেয়ারম্যান আ.
রহিম,মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান , ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান রাশেদ আহমেদ, দরিয়াদৌলত  পরিষদের  চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান উজ্জ্বল , ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আ.করিম চৌধুরী , রুপসদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.হাকিম,দরিকান্দি ইউপির মির্জা স্বপন ও আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা নজরুল ইসলাম।
তাদের পাশাপাশি অনেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এমনকি নারী সদস্যও আত্মগোপনে আছেন। অনেকে মামলার আসামি হয়েছেন। আবার অনেকেই মামলা হামলার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রকাশ্যে আসছে না এদের কেউই। পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও আছেন এ তালিকায়।
বাঞ্ছারামপুর ছলিমাবাদ  এলাকার বাসিন্দা রেজন মিয়া বলেন, ‘চাকরির আবেদনের জন্য চেয়ারম্যান সনদ নিতে তিন দিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সনদ নিতে পারছি না। সনদ না পেলে আমার চাকরির আবেদন করা হবে না।’
একই এলাকার রফিকুল ইসলাম  নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ছাড়া ছাত্রাবাসে সিট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারছি না। এ কাজে কয়েক দিন পরিষদে এসেছি। প্রতিদিন যাতায়াতে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মনসুর বলেন, ‘যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত, তাদের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে সরকার। ইতোমধ্যেই কিছু কিছু ইউনিয়নে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অফিসার নিয়োগ দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।অচিরেই ভোগান্তি কমে যাবে।’
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

বাঞ্ছারামপুরে ১৩ ইউপির চেয়ারম্যানরা লাপাত্তা। স্থবির সেবা কার্যক্রম

আপডেট সময় ০২:৪১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মেয়রসহ ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সবাই এখনো লাপাত্তা।যাদের ৭জনই বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদের সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবীতে আসীন রয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,লাপাত্তা চেয়ারম্যানরা অফিস করছেন না, পরিষদের কাজকর্মে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।গ্রেফতার হয়েছেন ২জন।তারা হলেন বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে কারারুদ্ধ সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যা.এবি তাজুল ইসলামের ভাগিনা ও উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি ও ছলিমাবাদ ইউপির জালাল মিয়া।
এর আগে পৌর মেয়র বিনা ভোটে নির্বাচিত মেয়র তফাজ্জল হোসেনকে অপসারণ করেছে সরকার। তার জায়গায় ইউএনও কে পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য অফিসার নিয়োগ দেওয়া হলেও পরিষদের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
আত্মগোপনে থাকা ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের বাদবাকী ১১ চেয়ারম্যানরা হলেন সোনারামপুর ইউপির শাহিন আহমেদ,তেজখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান , সদর ইউপি চেয়ারম্যান আ.
রহিম,মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান , ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান রাশেদ আহমেদ, দরিয়াদৌলত  পরিষদের  চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান উজ্জ্বল , ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আ.করিম চৌধুরী , রুপসদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.হাকিম,দরিকান্দি ইউপির মির্জা স্বপন ও আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা নজরুল ইসলাম।
তাদের পাশাপাশি অনেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এমনকি নারী সদস্যও আত্মগোপনে আছেন। অনেকে মামলার আসামি হয়েছেন। আবার অনেকেই মামলা হামলার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রকাশ্যে আসছে না এদের কেউই। পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও আছেন এ তালিকায়।
বাঞ্ছারামপুর ছলিমাবাদ  এলাকার বাসিন্দা রেজন মিয়া বলেন, ‘চাকরির আবেদনের জন্য চেয়ারম্যান সনদ নিতে তিন দিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সনদ নিতে পারছি না। সনদ না পেলে আমার চাকরির আবেদন করা হবে না।’
একই এলাকার রফিকুল ইসলাম  নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ছাড়া ছাত্রাবাসে সিট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারছি না। এ কাজে কয়েক দিন পরিষদে এসেছি। প্রতিদিন যাতায়াতে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মনসুর বলেন, ‘যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত, তাদের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে সরকার। ইতোমধ্যেই কিছু কিছু ইউনিয়নে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অফিসার নিয়োগ দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।অচিরেই ভোগান্তি কমে যাবে।’