ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। বাদবাকি ১৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
ফলে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছে না, অন্যদিকে মাতৃভাষার সঠিক ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারছে না। এ জন্য শিক্ষা প্রশাসনকেই দায়ী করছেন এলাকার সচেতন মহল। সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক হওয়ার সত্ত্বেও শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয় প্রধানরা বলছেন ভিন্ন কথা।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কথা জানা গেছে।এ ছাড়া বিভিন্ন মাদ্রাসা ও ২৫টি কেজি স্কুলে শহীদ মিনার নেই। এর মধ্যে উপজেলা সদরে অবস্থিত ৪টি বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থাকায় প্রশাসনের লোকজন বিষয়টি জানতে পারছেন না।অফিসারগন উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি ফলকে শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে।সরকারি আদেশ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা আবশ্যক কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন শিক্ষক বলেন, শহীদ মিনার থাকা ভালো, তাছাড়া কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
বাঞ্ছারামপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.নৌশাদ মাহমুদ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু তৌহিদ জানান, সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।যে স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার নেই,তার বাজেট চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোনারামপুর নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, অনেকেই নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জোর দেয়া হবে।