ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুর নদী দখল করে মাছ শিকার: উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
অবশেষে মৌসুমি রাজনৈতিক জসীম মাষ্টার এর কবল থেকে নদী দখল করে অবৈধ মাছের ঘের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন।
আজ (২ নভেম্বর)  রবিবার দুপুরে  উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের কালাইনগর গ্রামের তিতাস নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রবিউল হাসান ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে অবৈধ মৎস্য ঘের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে  বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামের তিতাস নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাঞ্ছারামপুর জনাব মো: রবিউল হাসান ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে অবৈধ মৎস্য ঘের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অভিযুক্ত পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এসময় উপস্থিত গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ঘের এর বাঁশ কেটে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বাঞ্ছারামপুর জনাব সাঈদা আক্তার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন হয়।
অভিযানে অভিযুক্ত জসীম মাষ্টার পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।  তবে এসময় উপস্থিত গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ঘের এর বাঁশ কেটে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রবিউল হাসান ভূইয়া।
 উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের আমল থেকে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রায় ১ কি: মি: দীর্ঘ তিতাস নদীর উপর অবৈধ মাছের ঘের দখল করে মাছ শিকার করে লাখ লাখ টাকা কামান।যেখানে এলাকার কাউকে আর মাছ ধরতে দেয়া হতো না।প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা হতো বলে গত সপ্তাহে  উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী। অভিযোগ দেয়া পরই দখলদার ও অভিযুক্ত জসীম মাষ্টার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের নেতা নয়,তিনি ৩৫ বছর ধরে জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেও, উপজেলা জামায়াত ইসলামের আমীর সেটি নাকচ করলে তিনি এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন।পরবর্তীতে জাকির নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জাকির হোসেনকে জসীম মাষ্টারের লোকজন মারধোর করে হাত পা বেঁধে কবরস্থানে ফেলে রাখে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়।এনিয় উপজেলা বিএনপি তীব্র প্রতিবাদ জানায় ও বিক্ষোভ করে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে অতি প্রভাবশালী জসীম মাষ্টারের কোটি টাকার মাছের ঘের ভেঙে দিয়ে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলো তিতাস নদী।
এলাকাবাসী প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং জসীম মাষ্টারের শাস্তি দাবী করেছেন।
ট্যাগস

বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানী দেওয়া হবে – কায়কোবাদ

বাঞ্ছারামপুর নদী দখল করে মাছ শিকার: উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

আপডেট সময় ১১:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
অবশেষে মৌসুমি রাজনৈতিক জসীম মাষ্টার এর কবল থেকে নদী দখল করে অবৈধ মাছের ঘের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন।
আজ (২ নভেম্বর)  রবিবার দুপুরে  উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের কালাইনগর গ্রামের তিতাস নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রবিউল হাসান ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে অবৈধ মৎস্য ঘের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে  বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামের তিতাস নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাঞ্ছারামপুর জনাব মো: রবিউল হাসান ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে অবৈধ মৎস্য ঘের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অভিযুক্ত পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এসময় উপস্থিত গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ঘের এর বাঁশ কেটে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বাঞ্ছারামপুর জনাব সাঈদা আক্তার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন হয়।
অভিযানে অভিযুক্ত জসীম মাষ্টার পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।  তবে এসময় উপস্থিত গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ঘের এর বাঁশ কেটে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রবিউল হাসান ভূইয়া।
 উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের আমল থেকে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রায় ১ কি: মি: দীর্ঘ তিতাস নদীর উপর অবৈধ মাছের ঘের দখল করে মাছ শিকার করে লাখ লাখ টাকা কামান।যেখানে এলাকার কাউকে আর মাছ ধরতে দেয়া হতো না।প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা হতো বলে গত সপ্তাহে  উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী। অভিযোগ দেয়া পরই দখলদার ও অভিযুক্ত জসীম মাষ্টার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের নেতা নয়,তিনি ৩৫ বছর ধরে জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেও, উপজেলা জামায়াত ইসলামের আমীর সেটি নাকচ করলে তিনি এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন।পরবর্তীতে জাকির নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জাকির হোসেনকে জসীম মাষ্টারের লোকজন মারধোর করে হাত পা বেঁধে কবরস্থানে ফেলে রাখে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়।এনিয় উপজেলা বিএনপি তীব্র প্রতিবাদ জানায় ও বিক্ষোভ করে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে অতি প্রভাবশালী জসীম মাষ্টারের কোটি টাকার মাছের ঘের ভেঙে দিয়ে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলো তিতাস নদী।
এলাকাবাসী প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং জসীম মাষ্টারের শাস্তি দাবী করেছেন।