ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুর-নামে মাত্র পৌরসভা,,বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিক সেবা

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

নামমাত্র পৌরসভা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর। যাত্রা শুরুর তিন বছর পেরোলেও এখানো পৌর ভবন নির্মাণ করা হয়নি। নেই নূন্যতম নাগরিক সুবিধাও। সবচেয়ে বড় সমস্যা ড্রেনেজ, সড়ক সংস্কার, জলাবদ্ধতা, পানি ও পয়:নিষ্কাশন।

পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৩ তারিখ যাত্রা শুরু করে। ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। পৌরসভাটি সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ এবং আছাদনগর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত। ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকরা ১২ ধরনের সেবা পাওয়ার কথা।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য  আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ, পয়নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যাত্রী ছাউনি, সড়ক বাতি, যানবাহনের পার্কিং স্থান ও বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ, শিক্ষা, খেলাধুলা, চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ। ৩ বছর আগে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম মেয়র পদে নির্বাচিত হন খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা।

পৌরবাসীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তাদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত পৌর কর। তবে বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতায় নাকাল তারা। নেই পয়নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সড়কে বাতি নেই, উদ্যোগ নেই সড়ক সংস্কারের। একটু বৃষ্টিতেই চকবাজার ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকে পানি। বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।অর্থের বিনিময়ে জন্ম-মৃর্ত্যূর নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র,ব্যবসার ছাড়পত্র এ ধরনের সেবা ছাড়া তারা নির্ধারিত অনেক সেবাই পান না।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়কগুলো কোনোটিই সংস্কার হয়নি। অধিকাংশ সড়কই সরু ও ভাঙ্গা। ফলে অল্প যানবাহন চলাচলেই যানজট লেগে থাকে।

পৌর এলাকার দশদোনা-জগন্নাথপুুর-দূর্গারামপুর,-এই ৩ বিশাল গ্রামের যথাক্রমে ব্যবসায়ী এমদাদুুল হক,বাদল মিয়া,আশিকুর রহমান সহ পৌরসভার একাধিক নাগরিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পৌরবাসীকে দিতে হচ্ছে নিয়মিত  পৌর কর। নেই পৌর ভবন। সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, নেই সড়ক বাতি। উদ্যোগ নেই সড়ক সংস্কারের। একটু বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকে পানি। বাসাবাড়ি থেকে বের হতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। তাদের ভাষায় নামেই পৌরসভা,যা মৃত প্রায়।

দূর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার রুবেল মোল্লা, করিম শেখসহ অনেকেই জানান, যারাই ভোটে দাঁড়ায় তারাই বলে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর আর কোনো কাজ হয় না।আমাদেও রাস্তার সাথে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে মেয়র বললেন-‘রাস্তা হবে ২৪ ফিট এখন বাস্তবে মিলছে ১১ ফিট!’। আমরা আসলেই বড় অসহায়। কেউ দেখার নেই। এই রকম পরিবেশে বসবাস করা যায় না।

বর্তমান মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা বলেন, ‘অল্প সময় হলো মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছি। পৌরসভার ফান্ড সমস্যা ছিল। যে বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়ে পৌরবাসীর সমস্যা সমাধান এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।তিনি বলেন, পৌরভবন নির্মাণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, বর্জ্য অপসারণ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ পৌরসভার সকল উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

বাঞ্ছারামপুর-নামে মাত্র পৌরসভা,,বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিক সেবা

আপডেট সময় ০৫:১৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

নামমাত্র পৌরসভা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর। যাত্রা শুরুর তিন বছর পেরোলেও এখানো পৌর ভবন নির্মাণ করা হয়নি। নেই নূন্যতম নাগরিক সুবিধাও। সবচেয়ে বড় সমস্যা ড্রেনেজ, সড়ক সংস্কার, জলাবদ্ধতা, পানি ও পয়:নিষ্কাশন।

পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৩ তারিখ যাত্রা শুরু করে। ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। পৌরসভাটি সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ এবং আছাদনগর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত। ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকরা ১২ ধরনের সেবা পাওয়ার কথা।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য  আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ, পয়নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যাত্রী ছাউনি, সড়ক বাতি, যানবাহনের পার্কিং স্থান ও বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ, শিক্ষা, খেলাধুলা, চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ। ৩ বছর আগে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম মেয়র পদে নির্বাচিত হন খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা।

পৌরবাসীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তাদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত পৌর কর। তবে বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতায় নাকাল তারা। নেই পয়নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সড়কে বাতি নেই, উদ্যোগ নেই সড়ক সংস্কারের। একটু বৃষ্টিতেই চকবাজার ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকে পানি। বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।অর্থের বিনিময়ে জন্ম-মৃর্ত্যূর নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র,ব্যবসার ছাড়পত্র এ ধরনের সেবা ছাড়া তারা নির্ধারিত অনেক সেবাই পান না।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়কগুলো কোনোটিই সংস্কার হয়নি। অধিকাংশ সড়কই সরু ও ভাঙ্গা। ফলে অল্প যানবাহন চলাচলেই যানজট লেগে থাকে।

পৌর এলাকার দশদোনা-জগন্নাথপুুর-দূর্গারামপুর,-এই ৩ বিশাল গ্রামের যথাক্রমে ব্যবসায়ী এমদাদুুল হক,বাদল মিয়া,আশিকুর রহমান সহ পৌরসভার একাধিক নাগরিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পৌরবাসীকে দিতে হচ্ছে নিয়মিত  পৌর কর। নেই পৌর ভবন। সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, নেই সড়ক বাতি। উদ্যোগ নেই সড়ক সংস্কারের। একটু বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকে পানি। বাসাবাড়ি থেকে বের হতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। তাদের ভাষায় নামেই পৌরসভা,যা মৃত প্রায়।

দূর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার রুবেল মোল্লা, করিম শেখসহ অনেকেই জানান, যারাই ভোটে দাঁড়ায় তারাই বলে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর আর কোনো কাজ হয় না।আমাদেও রাস্তার সাথে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে মেয়র বললেন-‘রাস্তা হবে ২৪ ফিট এখন বাস্তবে মিলছে ১১ ফিট!’। আমরা আসলেই বড় অসহায়। কেউ দেখার নেই। এই রকম পরিবেশে বসবাস করা যায় না।

বর্তমান মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা বলেন, ‘অল্প সময় হলো মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছি। পৌরসভার ফান্ড সমস্যা ছিল। যে বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়ে পৌরবাসীর সমস্যা সমাধান এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।তিনি বলেন, পৌরভবন নির্মাণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, বর্জ্য অপসারণ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ পৌরসভার সকল উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’