ফয়সাল আহম্মদ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১১ কি:মি: দীর্ঘ বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কে নতুন রাস্তা নির্মাণ ও পুরোনো সড়ক সংস্কারকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের কনক্রিট,ইট-বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। তা ছাড়া সংস্কারকাজে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে।সে সাথে ৭০ ভাগ কনক্রিট ও ৩০ ভাগ বালির স্থলে উল্টো ৩০ ভাগ কনক্রিট আর ৭০ ভাগ বালি দিয়ে সড়ক নির্মান করতে দেখা গেছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কের ১১ কি:মি: নতুন রাস্তা নির্মান ও সংস্কারে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রায়। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স রানা বিল্ডার্স ।রানা বিল্ডার্সের কর্মকর্তা শহিদুল হক নিম্নমানের ইট-বালু এবং কম পরিমান কনক্রিট ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন,-‘রাস্তায় ইট-বালু ভালো মানের ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে যাঁদের কাছ থেকে এগুলো নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা মাঝেমধ্যে এক নম্বর ইটের মধ্যে কিছু খারাপ ইট দিচ্ছেন।ত বে,কনক্রিটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা কম দিতে বাধ্য হচ্ছি।’
সরেজমিনে,অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গেলে দেখা গেছে,কিছু শ্রমিক সওজ বিভাগের গাড়ি দিয়ে নি¤œমানের মাটি সদৃশ বালি ও কম পরিমান কনক্রিট দিয়ে সড়কে নির্মান করছে।শ্রমীকরা বলেন-‘ঠিকাদার যা বলবে,সেভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ আজ (সোমবার) মুঠোফোনে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন,
‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স ঠিকঠাক মতো কাজ না করার কথা আমি আগেও জেনেছি।তারা কথা দিয়েছিলো,ভালো ভাবে কাজ করবে।এখনো যেহেতু ভাল ভাবে কাজ করছে না,আমি কাজ বন্ধ করে বিল আটকে দিচ্ছি’।