ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাতের ব্যথা কমায় এই ১১ খাবার

লাইফস্টাইল :

আমাদের দেশে অনেকেই বাতের ব্যথায় ভোগেন। রোগটি বেশিরভাগ সময় বংশগত কারণে হলেও মূলত হাড়ের জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হলে বাতের ব্যথা হয়। এছাড়াও বাড়তি ওজন, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ ও অ্যালকোহল সেবনের ফলেও বাতের ব্যথা হতে পারে। চারটি বিভাগে ১০০ এরও বেশি প্রকারের বাত রয়েছে, যা মানুষকে চরমভাবে ভোগায়।

বাতের ব্যথা দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম ও ওষুধের পাশাপাশি ব্যথার উপযোগী সুষম খাবার গ্রহণ করাও জরুরি। আর্থ্রাইটিস বা বাত নিরাময়ে কি কি খাবেন এমন ১১টি খাবারের কথা জেনে নেওয়া যাক-

১. ব্রকলি ও বাঁধাকপি

উচ্চমানের ভিটামিন সমৃদ্ধ ব্রকোলিতে রয়েছে সালফোরেফেন নামে একটি উপাদান যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। এর মধ্যকার ক্যালিসিয়াম সুস্থ হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে। বাঁধাকপিও খান মন ভরে। ব্রোকলি এবং বাঁধাকপি ক্রুসিফেরাস পরিবারের সদস্য। এগুলিতে সালফোরাফেন রয়েছে, এমন একটি যৌগ যা কারটিলেজের ক্ষতি ধীর করতে সহায়তা করে।

এই ক্রুসিফেরাস শাকসব্জীগুলো ভিটামিন এ, সি এবং কে এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ। কিছু প্রমাণ রয়েছে যে ক্রুসিফেরাস শাকগুলো উচ্চমাত্রার ডায়েট এমনকি বাতজনিত বাধাও রোধ করতে পারে।

২ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার

বাতের ব্যথা এবং প্রদাহজনিত সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি উপযোগী ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। গবেষণায় দেখা যায় অমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড নানা উপাদানে পরিবর্তিত হয়ে যায় যা প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ, বাদাম, তিল, সবুজ শাক, টমেটো ইত্যাদি থেকে প্রচুর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।

৩. রসুন

ব্যথা কমাতে রসুনের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। গাঁটের ব্যথা কমাতে এটি ভীষণ কাজ দেয়। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জয়েন্টে ম্যাসেজ করলে আরাম লাগে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা রসুনের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে, রসুনের রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিরাময় দুটো গুণই রয়েছে। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, রসুন একাধারে ভাইরাসরোধী, ছত্রাকরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক।

৪. বেরি

যে কোনও রকম বেরি খেলে আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমে যেতে পারে অনেকটাই। বেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ। এই যৌগ আপনার ইউরিক অ্যাসিড একদিকে নিযন্ত্রণে রাখে, অন্যদিকে ইউরিক অ্যাসিড জমতে দেয় না। তাই জয়েন্ট পেন হয় না। কাজেই ব্যাগ ভরে নিয়ে আসুন বেরি, আর গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পান।

৫. হলুদ

অনেক দিন ধরেই প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে হলুদ। এতে আছে কুরকুমিন নামের উপাদান। এতে যে প্রদাহবিরোধী উপাদান আছে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। অস্থিসন্ধির ব্যথা বা পেশির ব্যথা উপশম করতে পারে হলুদ। এটি মাথা ব্যথা, ফুলে যাওয়া ক্ষত ও ব্যথা উপশম করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৬. ভিটামিন সি

যে কোনও সব্জি বা ফল যেগুলোয় ভিটামিন সি রয়েছে, সেগুলো আপনার খাবার লিস্টে থাকুক যদি আপনি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চান। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিন যদি আপনি ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খান, তাতে ইউরিক অ্যাসিড খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। তাই কমলালেবু হোক বা পাতি লেবু, সারাদিনে অন্তত একটা করে খেতেই পারেন।

৭. বাদাম ও শিমের বিচি

আখরোট, পেস্তা ও আমন্ড বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন ই ও ফাইবার। অস্টিওআর্থ্রাইটিস (হাত-পা ও মেরুদণ্ড, হাঁটু, ঘাড়, কোমর, হিপ ও কাঁধের জয়েন্ট ব্যথা) এবং রিউম্যাটয়েড (হাত-পায়ের ছোট জয়েন্টগুলোয় ব্যথা হয় ও জয়েন্ট ফুলে যায় ) আর্থ্রাইটিস উভয়ের জন্যই এসব বাদাম বেশ উপকারী। ফাইবার সমৃদ্ধ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন, লোহা, জিংক ও পটাশিয়াম। বাতের কারণে ফোলাভাব কমাতে শিমের বিচি ভালো কাজ করে।

৮. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

দুধ, দই ও পনির ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৯. গ্রিন টি

গ্রিন টি তে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেকিন যৌগ। এই ক্যাটেকিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অনেকেই মনে করেন, এই ক্যাটেকিন শরীরের এমন কিছু এঞ্জা়ইমের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, যেগুলো ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে এই গ্রিন টি যত খাবেন, ক্যাটেকিনের দৌলতে আপনার ইউরিক অ্যাসিড থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

১০. আস্ত শস্যদানা

ফাইবার জাতীয় খাবার যত পারবেন বেশি করে খান। আপনি ওটস খান বা হোল গ্রেন ফুড সবই আপনাকে সাহায্য করবে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে। এগুলোয় থাকা ডায়েটারি ফাইবার শরীরে থাকা ইউরিক অ্যাসিড শুষে নেয় এবং তা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই ইউরিক অ্যাসিড আপনার সঙ্গী হলে এ জাতীয় খাবার আপনার প্লেটে থাক।

১১. মটরশুটি

মটরশুটি এমন একটি খাবার যা তাদের উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে সিআরপি কম করে। এটি ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। তাদের স্বাস্থ্যকর বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ ফাইবারের জন্য মটরশুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর সেন্ট্রাল স্কুলের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পুরষ্কার বিতরণ

বাতের ব্যথা কমায় এই ১১ খাবার

আপডেট সময় ১১:৪৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

লাইফস্টাইল :

আমাদের দেশে অনেকেই বাতের ব্যথায় ভোগেন। রোগটি বেশিরভাগ সময় বংশগত কারণে হলেও মূলত হাড়ের জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হলে বাতের ব্যথা হয়। এছাড়াও বাড়তি ওজন, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ ও অ্যালকোহল সেবনের ফলেও বাতের ব্যথা হতে পারে। চারটি বিভাগে ১০০ এরও বেশি প্রকারের বাত রয়েছে, যা মানুষকে চরমভাবে ভোগায়।

বাতের ব্যথা দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম ও ওষুধের পাশাপাশি ব্যথার উপযোগী সুষম খাবার গ্রহণ করাও জরুরি। আর্থ্রাইটিস বা বাত নিরাময়ে কি কি খাবেন এমন ১১টি খাবারের কথা জেনে নেওয়া যাক-

১. ব্রকলি ও বাঁধাকপি

উচ্চমানের ভিটামিন সমৃদ্ধ ব্রকোলিতে রয়েছে সালফোরেফেন নামে একটি উপাদান যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। এর মধ্যকার ক্যালিসিয়াম সুস্থ হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে। বাঁধাকপিও খান মন ভরে। ব্রোকলি এবং বাঁধাকপি ক্রুসিফেরাস পরিবারের সদস্য। এগুলিতে সালফোরাফেন রয়েছে, এমন একটি যৌগ যা কারটিলেজের ক্ষতি ধীর করতে সহায়তা করে।

এই ক্রুসিফেরাস শাকসব্জীগুলো ভিটামিন এ, সি এবং কে এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ। কিছু প্রমাণ রয়েছে যে ক্রুসিফেরাস শাকগুলো উচ্চমাত্রার ডায়েট এমনকি বাতজনিত বাধাও রোধ করতে পারে।

২ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার

বাতের ব্যথা এবং প্রদাহজনিত সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি উপযোগী ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। গবেষণায় দেখা যায় অমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড নানা উপাদানে পরিবর্তিত হয়ে যায় যা প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ, বাদাম, তিল, সবুজ শাক, টমেটো ইত্যাদি থেকে প্রচুর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।

৩. রসুন

ব্যথা কমাতে রসুনের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। গাঁটের ব্যথা কমাতে এটি ভীষণ কাজ দেয়। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জয়েন্টে ম্যাসেজ করলে আরাম লাগে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা রসুনের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে, রসুনের রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিরাময় দুটো গুণই রয়েছে। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, রসুন একাধারে ভাইরাসরোধী, ছত্রাকরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক।

৪. বেরি

যে কোনও রকম বেরি খেলে আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমে যেতে পারে অনেকটাই। বেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ। এই যৌগ আপনার ইউরিক অ্যাসিড একদিকে নিযন্ত্রণে রাখে, অন্যদিকে ইউরিক অ্যাসিড জমতে দেয় না। তাই জয়েন্ট পেন হয় না। কাজেই ব্যাগ ভরে নিয়ে আসুন বেরি, আর গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পান।

৫. হলুদ

অনেক দিন ধরেই প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে হলুদ। এতে আছে কুরকুমিন নামের উপাদান। এতে যে প্রদাহবিরোধী উপাদান আছে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। অস্থিসন্ধির ব্যথা বা পেশির ব্যথা উপশম করতে পারে হলুদ। এটি মাথা ব্যথা, ফুলে যাওয়া ক্ষত ও ব্যথা উপশম করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৬. ভিটামিন সি

যে কোনও সব্জি বা ফল যেগুলোয় ভিটামিন সি রয়েছে, সেগুলো আপনার খাবার লিস্টে থাকুক যদি আপনি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চান। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিন যদি আপনি ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খান, তাতে ইউরিক অ্যাসিড খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। তাই কমলালেবু হোক বা পাতি লেবু, সারাদিনে অন্তত একটা করে খেতেই পারেন।

৭. বাদাম ও শিমের বিচি

আখরোট, পেস্তা ও আমন্ড বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন ই ও ফাইবার। অস্টিওআর্থ্রাইটিস (হাত-পা ও মেরুদণ্ড, হাঁটু, ঘাড়, কোমর, হিপ ও কাঁধের জয়েন্ট ব্যথা) এবং রিউম্যাটয়েড (হাত-পায়ের ছোট জয়েন্টগুলোয় ব্যথা হয় ও জয়েন্ট ফুলে যায় ) আর্থ্রাইটিস উভয়ের জন্যই এসব বাদাম বেশ উপকারী। ফাইবার সমৃদ্ধ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন, লোহা, জিংক ও পটাশিয়াম। বাতের কারণে ফোলাভাব কমাতে শিমের বিচি ভালো কাজ করে।

৮. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

দুধ, দই ও পনির ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৯. গ্রিন টি

গ্রিন টি তে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেকিন যৌগ। এই ক্যাটেকিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অনেকেই মনে করেন, এই ক্যাটেকিন শরীরের এমন কিছু এঞ্জা়ইমের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, যেগুলো ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে এই গ্রিন টি যত খাবেন, ক্যাটেকিনের দৌলতে আপনার ইউরিক অ্যাসিড থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

১০. আস্ত শস্যদানা

ফাইবার জাতীয় খাবার যত পারবেন বেশি করে খান। আপনি ওটস খান বা হোল গ্রেন ফুড সবই আপনাকে সাহায্য করবে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে। এগুলোয় থাকা ডায়েটারি ফাইবার শরীরে থাকা ইউরিক অ্যাসিড শুষে নেয় এবং তা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই ইউরিক অ্যাসিড আপনার সঙ্গী হলে এ জাতীয় খাবার আপনার প্লেটে থাক।

১১. মটরশুটি

মটরশুটি এমন একটি খাবার যা তাদের উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে সিআরপি কম করে। এটি ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। তাদের স্বাস্থ্যকর বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ ফাইবারের জন্য মটরশুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।