ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাদশাহ ও যুবরাজে দ্বন্দ্ব বাড়ছে!

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইয়েমেন যুদ্ধসহ বেশকিছু ইস্যুতে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সাংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে বাদশাহের মিসর সফরকালে তার পরামর্শকেরা যুবরাজের ব্যাপারে তাকে সতর্ক করেছিলেন। যুবরাজ যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে একান্ত অনুগত ৩০ জনকে বাদশাহের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে মিসরের নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সফর শেষে বাদশাহ ফেরার পর তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন না যুবরাজ মোহাম্মদ।

বাদশাহ-যুবরাজের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে জারি করা একটা ডিক্রির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সৌদি আরবে সব ডিক্রিই জারি হয় বাদশাহের নামে। কিন্তু ওই ডিক্রিতে উপ-বাদশাহ হিসেবে যুবরাজের নামে স্বাক্ষর দেওয়া ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আলজেরিয়া ও সুদানের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের মতবিরোধ রয়েছে। বিরোধীদের ওপর শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যুবরাজ অভ্যন্তরীণভাবে নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত করেছেন। যদিও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কারণে যুবরাজ একটু কোণঠাসা রয়েছেন। পশ্চিমা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে যুবরাজকে সন্দেহ করছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুবরাজের সুসম্পর্ক রয়েছে। এজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী নন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে “ওয়াকিাথন” এবং কল্যান রাষ্ট্রগঠনে মুক্ত আড্ডা

বাদশাহ ও যুবরাজে দ্বন্দ্ব বাড়ছে!

আপডেট সময় ০৬:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০১৯
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইয়েমেন যুদ্ধসহ বেশকিছু ইস্যুতে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সাংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে বাদশাহের মিসর সফরকালে তার পরামর্শকেরা যুবরাজের ব্যাপারে তাকে সতর্ক করেছিলেন। যুবরাজ যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে একান্ত অনুগত ৩০ জনকে বাদশাহের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে মিসরের নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সফর শেষে বাদশাহ ফেরার পর তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন না যুবরাজ মোহাম্মদ।

বাদশাহ-যুবরাজের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে জারি করা একটা ডিক্রির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সৌদি আরবে সব ডিক্রিই জারি হয় বাদশাহের নামে। কিন্তু ওই ডিক্রিতে উপ-বাদশাহ হিসেবে যুবরাজের নামে স্বাক্ষর দেওয়া ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আলজেরিয়া ও সুদানের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের মতবিরোধ রয়েছে। বিরোধীদের ওপর শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যুবরাজ অভ্যন্তরীণভাবে নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত করেছেন। যদিও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কারণে যুবরাজ একটু কোণঠাসা রয়েছেন। পশ্চিমা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে যুবরাজকে সন্দেহ করছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুবরাজের সুসম্পর্ক রয়েছে। এজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী নন।