ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ইফতার মাহফিলে বি. চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ২০ দল

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির ইফতার পার্টিতে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে ২০ দলীয় জোট ছাড়াও কয়েকটি দলের নেতারা অংশ নেন।
বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আজকে বিএনপির কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে। কাঁপবে না কেন? তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। কী হবে যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে- এবারে আমাদের কী হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না।
একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন, তাদেরও বুক কাপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা? এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কি ইঙ্গিত নয় যে, এমন একটা পর্যায় দেশ যেতে পারে যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে, নিগৃহীত করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম।”
 বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো বলেন, এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। বলে দেয়, তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথ ড্র করবো, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাদের দেশে যেন সেরকম দুর্যোগ না আসে। আমরা যেন মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে শিখি।
তার বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম সাংবাদিকদের কাছে এসে বলেন, এই ইফতার মাহফিলে এসে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে আমরা আশাহত হয়েছি। এলডিপির পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই এই বক্তব্যের জবাব দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বি. চৌধুরী যখন বক্তব্য দেয়, তখনই আমি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি। বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ জোটের বেশ কয়েকজন নেতা আমার প্রতিবাদের বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। আমি বলছি, বি. চৌধুরীর মতো একজন রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক মঞ্চে এসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবে না। এটা হতে পারে না। তিনি দুই দলের সমালোচনা করে নতুন শক্তির কথা বলেছেন। তার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এতে আমরা ক্ষুব্ধ।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পাটির (এনডিপি) সভাপতি খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বলেন, বি. চৌধুরী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মঞ্চে এসে অগণতান্ত্রিক শক্তি খুঁজেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেননি। তিনি তৃতীয় শক্তির কথা বলেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাই তাকে ক্ষমা চাইতে বলিনি। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

বিএনপির ইফতার মাহফিলে বি. চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ২০ দল

আপডেট সময় ০৮:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মে ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির ইফতার পার্টিতে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে ২০ দলীয় জোট ছাড়াও কয়েকটি দলের নেতারা অংশ নেন।
বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আজকে বিএনপির কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে। কাঁপবে না কেন? তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। কী হবে যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে- এবারে আমাদের কী হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না।
একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন, তাদেরও বুক কাপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা? এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কি ইঙ্গিত নয় যে, এমন একটা পর্যায় দেশ যেতে পারে যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে, নিগৃহীত করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম।”
 বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো বলেন, এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। বলে দেয়, তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথ ড্র করবো, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাদের দেশে যেন সেরকম দুর্যোগ না আসে। আমরা যেন মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে শিখি।
তার বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম সাংবাদিকদের কাছে এসে বলেন, এই ইফতার মাহফিলে এসে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে আমরা আশাহত হয়েছি। এলডিপির পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই এই বক্তব্যের জবাব দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বি. চৌধুরী যখন বক্তব্য দেয়, তখনই আমি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি। বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ জোটের বেশ কয়েকজন নেতা আমার প্রতিবাদের বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। আমি বলছি, বি. চৌধুরীর মতো একজন রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক মঞ্চে এসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবে না। এটা হতে পারে না। তিনি দুই দলের সমালোচনা করে নতুন শক্তির কথা বলেছেন। তার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এতে আমরা ক্ষুব্ধ।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পাটির (এনডিপি) সভাপতি খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বলেন, বি. চৌধুরী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মঞ্চে এসে অগণতান্ত্রিক শক্তি খুঁজেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেননি। তিনি তৃতীয় শক্তির কথা বলেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাই তাকে ক্ষমা চাইতে বলিনি। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাই।