জাতীয় ডেস্ক:
শুল্কমুক্ত গাড়ি ক্রয়ের পর তা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাংসদ হারুনের ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এমপি হারুন ছাড়াও পলাতক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাংসদ থাকা অবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় বিএনপির সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুজ্জামান জানান, মামলার রায়ে সাজা পরোয়ানা জারি করে সাংসদ হারুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হারুন অর রশীদ।