ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাক আটকে দিয়েছে পুলিশ

জাতীয় ডেস্কঃ
‘নিয়ম না মেনে’ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা করছে-এমন অভিযোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বিএনপির ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাক আটকে দিয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল ট্রাকগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে জেলা প্রশাসন তা আটকে দেয়।
পুলিশ গিয়ে ট্রাকগুলোর চাবি নিয়ে নেয়। ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাকে চাল, ডাল, শুকনা খাবার, মোমবাতি,তাবু খাটানোর প্লাস্টিকের জিনিসপত্র রয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্পের প্রায় নয় হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণ বিরতরণ করার কথা। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ত্রাণ দিতে না পেরে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ত্রাণ দিতে এসেছি। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। রাজনীতি করতে আসিনি। ত্রাণ বিতরণে বাধা দিয়ে সরকার ‘জঘন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলো’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোতে যারা আছেন তাদের কোনও গোসল নেই, পানি নেই, খাদ্য নেই। ওখানে মানবিক বিপর্যয় চলছে। ওখানে গেলে আমরা তা জেনে যাবো। তার জন্যই আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।
মির্জা আব্বাস জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপির ত্রাণ সরকারের কাছে (জেলা প্রশাসন) জমা দিতে হবে। তারাই সেটা বিতরণ করবে।’তিনি পুলিশি বাধার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ত্রাণ দিতে যাওয়ার সময় দেখলাম, ট্রাক আর চলে না! পুলিশ চালকের কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে চালকদের সরিয়ে দেয়। পরে চালকদের খুঁজে আনলে চাবি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও গাড়িবহরের সামনে পুলিশের একটি পিকআপ দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সরকার আমাদের বাধা দিয়ে যা করলো তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরো আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. জাহিদ হোসেন, বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা লুত্ফুর রহমান কাজল ও  জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলন করে হোটেলে ফেরার পথে বিএনপি প্রতিনিধিদলকে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করে দলটি। পুলিশি বাধায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিএনপি কার্যালয়ে আটকা পড়েন।
কক্সাবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নিয়ম করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-সংগঠন তাদের নিজস্ব ব্যানারে কোন আর্থিক সাহায্য বা ত্রাণ বিতরণ করতে পারবেন না। ত্রাণ দিতে চাইলে জেলা প্রশাসনের ‘দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখায়’ আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ত্রাণসামগ্রী জমা দিতে হবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ বড়ুয়া বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কাউকে বাধা প্রদান করা হয়নি। তবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবির পরির্দশনে আসেন ৪০টি দেশের কূটনীতিক। তাদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। বিকাল ৪টার পর তা শিথিল করা হয়।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

বিএনপির ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাক আটকে দিয়েছে পুলিশ

আপডেট সময় ০২:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
‘নিয়ম না মেনে’ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা করছে-এমন অভিযোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বিএনপির ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাক আটকে দিয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল ট্রাকগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে জেলা প্রশাসন তা আটকে দেয়।
পুলিশ গিয়ে ট্রাকগুলোর চাবি নিয়ে নেয়। ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাকে চাল, ডাল, শুকনা খাবার, মোমবাতি,তাবু খাটানোর প্লাস্টিকের জিনিসপত্র রয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্পের প্রায় নয় হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণ বিরতরণ করার কথা। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ত্রাণ দিতে না পেরে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ত্রাণ দিতে এসেছি। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। রাজনীতি করতে আসিনি। ত্রাণ বিতরণে বাধা দিয়ে সরকার ‘জঘন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলো’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোতে যারা আছেন তাদের কোনও গোসল নেই, পানি নেই, খাদ্য নেই। ওখানে মানবিক বিপর্যয় চলছে। ওখানে গেলে আমরা তা জেনে যাবো। তার জন্যই আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।
মির্জা আব্বাস জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপির ত্রাণ সরকারের কাছে (জেলা প্রশাসন) জমা দিতে হবে। তারাই সেটা বিতরণ করবে।’তিনি পুলিশি বাধার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ত্রাণ দিতে যাওয়ার সময় দেখলাম, ট্রাক আর চলে না! পুলিশ চালকের কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে চালকদের সরিয়ে দেয়। পরে চালকদের খুঁজে আনলে চাবি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও গাড়িবহরের সামনে পুলিশের একটি পিকআপ দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সরকার আমাদের বাধা দিয়ে যা করলো তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরো আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. জাহিদ হোসেন, বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা লুত্ফুর রহমান কাজল ও  জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলন করে হোটেলে ফেরার পথে বিএনপি প্রতিনিধিদলকে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করে দলটি। পুলিশি বাধায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিএনপি কার্যালয়ে আটকা পড়েন।
কক্সাবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নিয়ম করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-সংগঠন তাদের নিজস্ব ব্যানারে কোন আর্থিক সাহায্য বা ত্রাণ বিতরণ করতে পারবেন না। ত্রাণ দিতে চাইলে জেলা প্রশাসনের ‘দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখায়’ আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ত্রাণসামগ্রী জমা দিতে হবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ বড়ুয়া বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কাউকে বাধা প্রদান করা হয়নি। তবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবির পরির্দশনে আসেন ৪০টি দেশের কূটনীতিক। তাদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। বিকাল ৪টার পর তা শিথিল করা হয়।