ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্ত করছে: কাদের

জাতীয় ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটা শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের ন্যায় আবারও দেশকে ভয়ঙ্কর ও অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা উঠে পড়ে লেগেছে, চক্রান্ত করছে। এই ষড়যন্ত্রে মিডিয়ার একটি অংশ জড়িত আছে। এক-এগারোর সময়েও মিডিয়ার একটি অংশ সেই চেষ্টায় ছিল। তবে এবার সব বাধা উপেক্ষা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ই অনুষ্ঠিত হবে।’
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন ও ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপর জনগণ খুশি। তারা বুঝে গেছে জনগণ উন্নয়নের দিকে রায় দেবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবারও রায় দেবে। এটা মেনে নিতে না পেরে বিএনপি ও তাদের দোসররা হুমকি সৃষ্টি করছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যেভাবে নির্বাচনে যেতে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত যদি সেই ফরমেট থাকে তবে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাহলে নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে সরকারের কোনো পদ্ধতি নেই। পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানে। সংবিধানেই নির্ধারণ করে দিয়েছে কীভাবে নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য অর্পিত দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য ৯০ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ করেছেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর লেভেল প্লেয়িংটা কীভাবে হবে তাও কিন্তু নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব। সরকার কিছু করবে না।’
আগামী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির কোনো অংশগগ্রণ থাকবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখন সুযোগ ছিল তখন তারা আসেনি। তখন (গত নির্বাচনে) তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি পর্যন্ত আমরা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এখন তো তাদের সংসদে প্রতিনিধিত্বই নেই। সেখানে তাদের নেয়ার সুযোগই নেই।’
নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্রেট কোটায় বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী আছেন, পেশাজীবী আছেন। আরও অনেকেই আছেন। সেখানে একটি দল থেকে কেন নিতে হবে? আর সেই চিন্তা সরকারের নেই।’ তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের দল নিরপেক্ষ সদস্যদের রাখার ইঙ্গিত দিয়ে আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে রাজনীতি করেন না এমন প্রতিনিধিরা থাকতে পারেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান প্রমুখ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্ত করছে: কাদের

আপডেট সময় ০৫:২২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটা শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের ন্যায় আবারও দেশকে ভয়ঙ্কর ও অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা উঠে পড়ে লেগেছে, চক্রান্ত করছে। এই ষড়যন্ত্রে মিডিয়ার একটি অংশ জড়িত আছে। এক-এগারোর সময়েও মিডিয়ার একটি অংশ সেই চেষ্টায় ছিল। তবে এবার সব বাধা উপেক্ষা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ই অনুষ্ঠিত হবে।’
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন ও ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপর জনগণ খুশি। তারা বুঝে গেছে জনগণ উন্নয়নের দিকে রায় দেবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবারও রায় দেবে। এটা মেনে নিতে না পেরে বিএনপি ও তাদের দোসররা হুমকি সৃষ্টি করছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যেভাবে নির্বাচনে যেতে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত যদি সেই ফরমেট থাকে তবে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাহলে নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে সরকারের কোনো পদ্ধতি নেই। পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানে। সংবিধানেই নির্ধারণ করে দিয়েছে কীভাবে নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য অর্পিত দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য ৯০ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ করেছেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর লেভেল প্লেয়িংটা কীভাবে হবে তাও কিন্তু নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব। সরকার কিছু করবে না।’
আগামী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির কোনো অংশগগ্রণ থাকবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখন সুযোগ ছিল তখন তারা আসেনি। তখন (গত নির্বাচনে) তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি পর্যন্ত আমরা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এখন তো তাদের সংসদে প্রতিনিধিত্বই নেই। সেখানে তাদের নেয়ার সুযোগই নেই।’
নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্রেট কোটায় বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী আছেন, পেশাজীবী আছেন। আরও অনেকেই আছেন। সেখানে একটি দল থেকে কেন নিতে হবে? আর সেই চিন্তা সরকারের নেই।’ তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের দল নিরপেক্ষ সদস্যদের রাখার ইঙ্গিত দিয়ে আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে রাজনীতি করেন না এমন প্রতিনিধিরা থাকতে পারেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান প্রমুখ।