ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

জাতীয় ডেস্ক:

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার ভোরে লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া আমঝোল সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আমঝোল গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ও বন চৌকি গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়াl

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে চার-পাঁচজনের একটি গরু ব্যবসায়ীর দল ভারতীয় সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আরেকজন আহত অবস্থায় বাড়িতে এসে নিহত হন।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি পত্র দিয়েছে। এছাড়া সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

সম্প্রতি সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যায়। গত ১২ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সীমান্ত হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নীতি হচ্ছে- সীমান্তে যাতে একজনও মারা না যায়। এ ব্যাপারে ভারত সরকারও অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অঙ্গীকারের পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমরা ভারতকে জানাব। সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে আমাদের কাছে ভারত যে অঙ্গীকার করেছিল, সেটা পূরণ করতে বলব।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

আপডেট সময় ০১:৪৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০

জাতীয় ডেস্ক:

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার ভোরে লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া আমঝোল সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আমঝোল গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ও বন চৌকি গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়াl

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে চার-পাঁচজনের একটি গরু ব্যবসায়ীর দল ভারতীয় সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আরেকজন আহত অবস্থায় বাড়িতে এসে নিহত হন।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি পত্র দিয়েছে। এছাড়া সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

সম্প্রতি সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যায়। গত ১২ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সীমান্ত হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নীতি হচ্ছে- সীমান্তে যাতে একজনও মারা না যায়। এ ব্যাপারে ভারত সরকারও অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অঙ্গীকারের পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমরা ভারতকে জানাব। সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে আমাদের কাছে ভারত যে অঙ্গীকার করেছিল, সেটা পূরণ করতে বলব।’