মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কষ্টের দিন শেষ হলো দশম শ্রেণীর প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নাজমুলের। প্রতিবন্ধী শিক্ষাথর্ীর কষ্ট লাগবে স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার্থে হাত দিয়ে পেডেল চালিত একটি রিক্সা ও দুইটি স্ক্র্যাচ প্রদান করেছে মানব সেবার সংগঠন মি.ফান।
সোমবার সকালে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে নাজমুলের নিজ বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে দু’টি স্ক্র্যাচ ও একটি হাত দিয়ে পেডেল চালিত রিক্সা তার হাতে তুলে দেন মানব সেবায় মি.ফান সংগঠনের সদস্যরা।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গ্রুপের সদস্যদের কাছ থেকে অসহায় মানুষের খোঁজ পেলেই ছুটে যায় মানব সেবায় মি.ফান গ্রুপের সদস্যরা। শুরু হয় দেশ-বিদেশে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের কাজ। আর সেই অর্থ দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সেই সব অসহায় মানুষগুলোর পাশে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের এক সদস্যর কাছ থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নাজমুলের ৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে হাতল ও একটি রিক্সা নিয়ে তার পাশে দাঁড়ান।
এ বিষয়ে শিক্ষাথর্ী নাজমুল জনান, ইতিপূর্বে মানব সেবায় মি.ফান সংগঠনের সদস্যরা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মোচাগাড়া গ্রামে অসহায় মা ও মেয়েকে থাকার জন্য তৈরি করে দিয়েছে একটি নতুন ঘর। তার কিছুদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার শুশুন্ডা দক্ষিণ দিলালাপুর গ্রামের আরো এক অসহায় মা ও ছেলেকে দেয়া হয় নতুন ঘর। তার কিছু দিন মধ্যে উপজেলা সদর এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ খলিল মিয়াকেও দেয়া হয় একটি ঘর। আর এসব ঘর গুলোর নাম দেয়া হচ্ছে ‘ছায়ানীড়’। এছাড়াও এলাকায় বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজ করেছে তারা অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়া, শীতবস্ত্র বিতরণ, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, এতিম ছাত্রদের পোশাক প্রদানসহ জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ ব্যক্তিদের নিজ খরচে রক্ত প্রদানও করে আসছে এই সংগঠনের সদস্যরা।