জাতীয় ডেস্কঃ
দেশের বিদ্যুত্ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নতি ও বিদ্যুত্ খাতে সক্ষমতা বাড়াতে ৬১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এডিবির এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি। এ সময় এডিবি ও ইআরডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে কাজী শফিকুল আযম বলেন, এটি এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প, যা দেশের বিদ্যুত্ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আমাদের জন্য তাই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পিজিসিবি, ডেসকো এবং বিআরইবি এই তিন বাস্তবায়নকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়।
কাজুহিকো হিগুচি বলেন, এ প্রকল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুত্ সুবিধার আওতায় আসবে। এসব পরিবারের অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। এছাড়া প্রকল্পটি ঢাকার বর্ধিত বিদ্যুত্ চাহিদা মেটানো এবং বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে সাহায্য করবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পটি চার বছর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে এবং প্রাক্কলিত সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে এডিবি দেবে ৬১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার এবং অবশিষ্ট ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ সরকারের নিজস্ব অথার্য়ন থেকে দেয়া হবে। এডিবি ছাড়াও এই কর্মসূচিতে সহ-অর্থায়নকারী হিসেবে জাপান ফান্ড ফর পোভার্টি রিডাকশন (জেএফপিআর) শূন্য দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবে। এডিবির ঋণ ৫ বছর রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ওসিআর কনসেশনাল ঋণের সুদ হার দুই শতাংশ এবং অব্যয়িত অর্থের ওপর শুণ্য দশমিক ১৫ হারে কমিটমেন্ট চার্জ এবং শুণ্য দশমিক ১০ শতাংশ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম প্রযোজ্য।
প্রকল্পে আওতায় আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হবে। ঢাকা, ময়মনসিংহ চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। সেইসাথে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগেরও বিদ্যুত্ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে।
ইত্তেফাক