ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবাহিত জীবনে সুখী হতে চাইলে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে এই দুটি মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিবাহিত জীবনে দম্পতিদের সুখ থাকা প্রয়োজন। তাহলেই তাদের জীবন ভাল ভাবে চলবে। প্রতিটি দম্পতি এটি চান যে তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। অনেক বিবাহিত দম্পতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে সংশয়ে থাকেন। সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতা, মতবিরোধ এবং আত্ম-সন্দেহ এ জাতীয় সমস্যার জন্ম দেয়। প্রতিটি বিবাহে অনুভূতি বিকাশের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে যা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এই সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। সম্পর্কের কিছু ইতিবাচক লক্ষণ রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি আপনার বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তুলতে পারবেন।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভরসা থাকাটা প্রয়োজন। কখনও কখনও সম্পর্কটি ভেঙে পড়তে শুরু করার পরেও, আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করেন এবং তার সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে সমস্যাগুলি দূরে সরে গিয়ে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।

বিবাহিত দম্পতিরা একে অপরেকে বিশ্বাস,ভালোবাসার মাধ্যমে দুজনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে, যে কোনও পরিস্থিতেই তাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে।

পার্টনারের যদি কিছু প্রয়োজন হয় বা কিছু ইচ্ছা হয় তবে সেই চাহিদা পূরণ করা এবং প্রয়োজনে পাশে থাকাই উপযুক্ত পার্টনারের কর্তব্য।

যে কোনও সম্পর্কেই জমে থাকা ভাল তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে প্রভাব আনতে পারে, তাই সম্পর্কে বিশ্বাস থাকাটা অনেক বেশি প্রয়োজন।

ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে তাই মাথা ঠান্ডা করে অপরপক্ষকে ভুলটা ধরিয়ে দেন বা নিজে ভুল করলে ক্ষমা চেয়ে নিন। ক্ষমা করার পর ওই বিষয়ে আর কখনো কোনো কথা বলবেন না।

বিয়ে করেছেন মানে ঘরের সাহায্যের জন্য লোক এনেছেন তা কিন্তু নয়, তাই নিজেও সংসারের দায়িত্ব নিন। একজন রান্না করলে অন্যজন অন্যভাবে সাহায্য করুন। মাঝে মধ্যে প্রেম বানিয়ে রাখার জন্য সারপ্রাইজ দিন।

সংসারের নানা কারণে ঝামেলা আসে রাগ হয় কিন্তু বিছানায় যাওয়ার আগে রাগ নিয়ে যাবেন না এতে দাম্পত্য কখনো সুখের হবেনা। নিজের রাগ থিতু করে তবেই যান। বিবাহিত জীবনে মতানৈক্য হতেই পারে, দুটো আলাদা মানুষের চিন্তা ভাবনা আলাদা হওয়া স্বাভাবিক তাই সব সময় ঝগড়া না করে একে অপরের কথা শুনুন, অপরদিকে মানুষটিকে বুঝতে শিখুন, নিজের বক্তব্য বুঝিয়ে বলুন।

বিয়ের পরে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে ভ্রমণে বা ডেটে যেতে পারেন। যদি সম্পর্ক পুরনো হয়, নতুন করে প্রতিটা দিন সাজিয়ে নিতে পারলেই পুরনো সম্পর্কও থাকবে নতুনের মত।

যে কোন সম্পর্ক তখনই সুখের হয় যখন আপনি নিজে সুস্থ ও ভাল থাকবেন, আপনার সঙ্গীর উপর নির্ভর করে সুখী হওয়া কোনও উপায় নয়। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার আগে ভেবে কথা বলুন, আপনার পার্টনারের খারাপ লাগতে পারে এমন কোনও কথা বলার আগে ভেবে তবেই বলবেন।

একটি বিবাহ মানেই ২টি পরিবারের মিলন, আর ২ পরিবারের সঙ্গে দম্পতি সামাজিক মূল্যবোধগুলি বিকাশ করলে তাদের সমাজে নিজেদের পরিচিত বাড়বে। বিয়ে হয়ে গেলেও অনেকেই মনে করেন, ভালবাসার কথা আলাদা করে জানাবার দরকার নেই, তবে বিয়ের পরেও ভালবাসার কথা পার্টনারকে জানানো সম্পর্কের পক্ষে ভাল।

বিবাহের সম্পর্ক কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রেমের চেয়েও বড়, এতে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ২টি পরিবারেরও মিলন হয়, একে অপরের সিদ্ধান্ত, বিরোধিতা এবং মনোভাবকে সম্মান করা দুজনের কর্তব্য। বিয়ের পরে ভালবাসার জন্য একে অপরকে প্রমাণ দেওয়ার কিছু নেই বরং একে অপরকে সম্মান করা উচিত। কারণ সম্মান বিয়ের মতো পবিত্র জিনিস। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সিদ্ধান্তগুলোকে সম্মান করেন তবে সম্পর্কের মধ্যে প্রেম আরও বাড়বে। এর ফলে আপনার সঙ্গীর আপনার সিদ্ধান্তগুলোরও সম্মান করবে। ফলে উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া বেড়ে উঠবে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

বিবাহিত জীবনে সুখী হতে চাইলে করণীয়

আপডেট সময় ০৫:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে এই দুটি মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিবাহিত জীবনে দম্পতিদের সুখ থাকা প্রয়োজন। তাহলেই তাদের জীবন ভাল ভাবে চলবে। প্রতিটি দম্পতি এটি চান যে তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। অনেক বিবাহিত দম্পতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে সংশয়ে থাকেন। সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতা, মতবিরোধ এবং আত্ম-সন্দেহ এ জাতীয় সমস্যার জন্ম দেয়। প্রতিটি বিবাহে অনুভূতি বিকাশের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে যা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এই সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। সম্পর্কের কিছু ইতিবাচক লক্ষণ রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি আপনার বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তুলতে পারবেন।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভরসা থাকাটা প্রয়োজন। কখনও কখনও সম্পর্কটি ভেঙে পড়তে শুরু করার পরেও, আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করেন এবং তার সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে সমস্যাগুলি দূরে সরে গিয়ে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।

বিবাহিত দম্পতিরা একে অপরেকে বিশ্বাস,ভালোবাসার মাধ্যমে দুজনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে, যে কোনও পরিস্থিতেই তাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে।

পার্টনারের যদি কিছু প্রয়োজন হয় বা কিছু ইচ্ছা হয় তবে সেই চাহিদা পূরণ করা এবং প্রয়োজনে পাশে থাকাই উপযুক্ত পার্টনারের কর্তব্য।

যে কোনও সম্পর্কেই জমে থাকা ভাল তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে প্রভাব আনতে পারে, তাই সম্পর্কে বিশ্বাস থাকাটা অনেক বেশি প্রয়োজন।

ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে তাই মাথা ঠান্ডা করে অপরপক্ষকে ভুলটা ধরিয়ে দেন বা নিজে ভুল করলে ক্ষমা চেয়ে নিন। ক্ষমা করার পর ওই বিষয়ে আর কখনো কোনো কথা বলবেন না।

বিয়ে করেছেন মানে ঘরের সাহায্যের জন্য লোক এনেছেন তা কিন্তু নয়, তাই নিজেও সংসারের দায়িত্ব নিন। একজন রান্না করলে অন্যজন অন্যভাবে সাহায্য করুন। মাঝে মধ্যে প্রেম বানিয়ে রাখার জন্য সারপ্রাইজ দিন।

সংসারের নানা কারণে ঝামেলা আসে রাগ হয় কিন্তু বিছানায় যাওয়ার আগে রাগ নিয়ে যাবেন না এতে দাম্পত্য কখনো সুখের হবেনা। নিজের রাগ থিতু করে তবেই যান। বিবাহিত জীবনে মতানৈক্য হতেই পারে, দুটো আলাদা মানুষের চিন্তা ভাবনা আলাদা হওয়া স্বাভাবিক তাই সব সময় ঝগড়া না করে একে অপরের কথা শুনুন, অপরদিকে মানুষটিকে বুঝতে শিখুন, নিজের বক্তব্য বুঝিয়ে বলুন।

বিয়ের পরে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে ভ্রমণে বা ডেটে যেতে পারেন। যদি সম্পর্ক পুরনো হয়, নতুন করে প্রতিটা দিন সাজিয়ে নিতে পারলেই পুরনো সম্পর্কও থাকবে নতুনের মত।

যে কোন সম্পর্ক তখনই সুখের হয় যখন আপনি নিজে সুস্থ ও ভাল থাকবেন, আপনার সঙ্গীর উপর নির্ভর করে সুখী হওয়া কোনও উপায় নয়। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার আগে ভেবে কথা বলুন, আপনার পার্টনারের খারাপ লাগতে পারে এমন কোনও কথা বলার আগে ভেবে তবেই বলবেন।

একটি বিবাহ মানেই ২টি পরিবারের মিলন, আর ২ পরিবারের সঙ্গে দম্পতি সামাজিক মূল্যবোধগুলি বিকাশ করলে তাদের সমাজে নিজেদের পরিচিত বাড়বে। বিয়ে হয়ে গেলেও অনেকেই মনে করেন, ভালবাসার কথা আলাদা করে জানাবার দরকার নেই, তবে বিয়ের পরেও ভালবাসার কথা পার্টনারকে জানানো সম্পর্কের পক্ষে ভাল।

বিবাহের সম্পর্ক কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রেমের চেয়েও বড়, এতে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ২টি পরিবারেরও মিলন হয়, একে অপরের সিদ্ধান্ত, বিরোধিতা এবং মনোভাবকে সম্মান করা দুজনের কর্তব্য। বিয়ের পরে ভালবাসার জন্য একে অপরকে প্রমাণ দেওয়ার কিছু নেই বরং একে অপরকে সম্মান করা উচিত। কারণ সম্মান বিয়ের মতো পবিত্র জিনিস। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সিদ্ধান্তগুলোকে সম্মান করেন তবে সম্পর্কের মধ্যে প্রেম আরও বাড়বে। এর ফলে আপনার সঙ্গীর আপনার সিদ্ধান্তগুলোরও সম্মান করবে। ফলে উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া বেড়ে উঠবে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না।