খেলাধূলা ডেস্কঃ
দেশভেদে ক্রিকেটারদের আয়ের পার্থক্য বিপুল পরিমাণ। আর দলের অন্য সদস্যদের থেকে অধিনায়কেরা একটু বেশিই বেতন পান। এতে এগিয়ে আছেন ইংলিশ অধিনায়কেরা। বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মুর্তজা কিংবা সাকিব আল হাসানও একেবারে কম বেতন পান না সেটা ক্রিকেটপ্রেমীরা জানেন। এবার দেখে নেওয়া যাক, বাংলাদেশ ছাড়া বাকী ৯টি দেশের ক্রিকেট অধিনায়কেরা কত বেতন পান :
জো রুট এবং এউইন মরগ্যান: ইংল্যান্ডের টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের অধিনায়ক জো রুট আর এইউন মরগ্যান সমান বেতন পান।তাদের মাসিক আয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৩ লাখ টাকা।
বিরাট কোহালি: ভারতীয় অধিনায়ক এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয়। আয়ের দিক থেকেও তিনি অধিনায়কদের তালিকায় দুই নম্বরে। বর্তমানে কোহালির মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০.৫ লাখ টাকা।
টিম পেইন: ক্রিকেট অস্টেলিয়ার তরুণ অধিনায়ক। এখনও পর্যন্ত বড় কোনো সাফল্য ধরা না দিলেও ধনী বোর্ড হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার বেতনের অঙ্কটাও বেশ বড়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশি মুদ্রায় মাসিক ৬৯ লাখ টাকার মতো বেতন পান।
কেন উইলিয়ামসন: অনেক বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের রোজগার কিন্তু অন্য অনেকের থেকে বেশ কিছুটা কম। কেনকে তার দেশের ক্রিকেট বোর্ড মাসে মাত্র ৩৪.৫ লাখ টাকা দেয়।
ফাফ ডুপ্লেসিস: দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কিন্তু প্রথম ৩ জনের থেকে বেশ কম বেতন পান। তার মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০.৩ লাখ টাকা।
দীনেশ চান্ডিমাল এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ: শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলের অধিনায়ক চান্ডিমাল। অন্যদিকে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার নেতা ম্যাথিউজ। দুজনেই মাসিক বেতন পান বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২ লাখ টাকার কিছুটা বেশি।
জেসন হোল্ডার: আগের সেই দিন আর নেই। টি-টোয়েন্টি বাদে বাকি ফরম্যাটে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দলের অধিনায়ক হোল্ডারের মাসিক আয় অন্য দেশের থেকে কম। তিনি মাসিক বেতন পান ১৮.৭৫ লাখ টাকা।
সরফরাজ আহমেদ: পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। দেশকে বেশ কিছু শিরোপা উপহার দিলেও রোজগারের দিক দিয়ে তিনি অন্যান্যদের থেকে অনেকটাই কম বেতন পান। তার মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র সাড়ে ৬ লাখ টাকার মতো!
গ্রেমি ক্রেমার: দারিদ্র আর দুর্নীতিতে জর্জরিত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। এমন খারাপ অবস্থা থেকে দলকে বের করে আনার স্বপ্নে কিছু ক্রিকেটার এখনও লড়াই করে যাচ্ছেন। তাদের অন্যতম অধিনায়ক গ্রেমি ক্রেমার। তার মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫.৯৩ লাখ টাকা।