জাতীয় ডেস্কঃ
কমান্ডো অভিযানে নিহত বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী তরুণ পলাশ এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো।
র্যাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৭ বছরের কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ মো. পলাশ আহমেদকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব-১১। সেই সময়ই র্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজে তার নাম তালিকাভুক্ত হয়। আমরা তার প্রিভিয়াস ক্রিমিনাল রেকর্ড খতিয়ে দেখছি।
মুফতি মাহমুদ জানান, ডাটাবেজের তথ্য অনুযায়ী তার নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তার বাড়ি।
অপরহরণ ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তি তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে পলাশ ওরফে মাহাদীর নামে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪৪। ওই বছরের ২৮ মার্চ র্যাব তাকে গ্রেফতারের পর অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় নেমরা মারমা নামে পলাশের এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের আরেক কর্মকর্তা জানান, অপহরণের ওই ঘটনায় পলাশ আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে ভিকটিমের পরিবার তখন অভিযোগ করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার এবং এক সহযোগীসহ পলাশকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, পলাশের বাবা পিয়ার জাহান জানান, এক মেয়ের সঙ্গে পলাশের ভালোবাসা ছিল। ওই মেয়ের বাবা মামলা করেছিল। সেই মামলায় পলাশ ২০ দিন কারাগারে ছিল। পরে জামিন করাই।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের দুবাইগামী ওই উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেনা কমান্ডোদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী।
কমান্ডো অভিযানের পর সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তির নাম ‘মাহাদী’। তবে সোমবার তার পরিচয় উদঘাটন করে জানানো হয়, নিহতের নাম পলাশ আহমেদ।