খেলাধূলা ডেস্কঃ
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের অনুমোদন পাওয়ার পর কাতারে বসবাসকারী জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০শতাংশ বেড়েছে বলে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির উন্নয়ন পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের (এমডিপিএস) প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়েছে, কাতারে জনসংখ্যা এখন রেকর্ড পরিমাণ ২.৬৭ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাতারকে যখন বিশ্ব ফুটবলের সর্ববৃহৎ টুর্নামেন্টের আয়োজক নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন সেখানকার জনসংখ্যা ছিল ১.৬৩ মিলিয়ন বলে জানায় এমডিপিএস। সেই তুলনায় বর্তমান সংখ্যার হিসেবে জনসংখ্যা বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
অবশ্য জনসংখ্যা বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে বিশ্বকাপকে উপলক্ষ করে গালফ দেশটির ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের জন্য বৃহদাকার অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশটি শুধুমাত্র শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে ১০ হাজার।
গত ডিসেম্বরে দোহার উন্নয়ন প্রশাসন, শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত তথ্য মোতাবেক কাতারে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ২.১ মিলিয়ন। যাদের অধিকাংশই এসেছে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে। এদের অনেকেই পরোক্ষভাবে কাজ করছে বিশ্বকাপের বিভিন্ন প্রকল্পে। যার আওতায় রয়েছে ভবন, সড়ক, বন্দর ও মেট্রো লেন নির্মাণ।
শুরুতে শুধুমাত্র কাতারে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ৫ হাজার নির্মাণ শ্রমিককে নিয়োজিত করা হয়েছিল, যেটি বাড়িয়ে ২০১৮ সালে ৩৬ হাজারে উন্নীত করার কথা রয়েছে।