জাতীয় ডেস্কঃ
বিকল্পধারা সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রধান করে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়েছে। নতুন এই জোটের নাম ‘যুক্তফ্রন্ট।’ বিকল্পধারা, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই চার দল নিয়ে এ জোট গঠিত হয়েছে।
সোমবার রাতে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই জোটে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম নেই। গতকাল বৈঠকে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন নতুন ফ্রন্টের নীতি ও ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। জোটের গঠনকাঠামো ও কার্যপদ্ধতি পরে ঠিক করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তিনি কোনও জোটে থাকবেন না। তাই গণফোরামকে এই জোটে রাখা হয়নি। ড. কামাল হোসেন বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন।
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন জানান, গতকাল জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসায় বৈঠকে বসেন ছোট চারটি দলের শীর্ষ নেতারা। তৃতীয় একটি জোট গঠনের লক্ষ্যে এই ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবেই এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বি. চৌধুরীকে প্রধান করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করতে আরও সপ্তাহ দুই সময় লাগবে।
রাত সাড়ে আটটা থেকে বৈঠক শুরু হয় রবের উত্তরার বাসায়। বৈঠকটি হয় জোট গঠনের ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে। বৈঠকে অংশ নেন বিকল্প ধারা সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির আসম রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
এছাড়াও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরীসহ দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, জোট গঠন করা হয়েছে, এটি খুব ভালো খবর। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় জোট হবে। তবে আমরা এই জোটে নেই।
ইতিপুর্বে গত জুলাই মাসে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় পুলিশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা আ স ম আবদুর রবের আমন্ত্রণে তাঁর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের বাসায় যান। এ সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য সেখানে গিয়ে জানান, অনুমতি ছাড়া সভা করা যাবে না। তখন আবদুর রব বলেন, এটা সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান। একপর্যায়ে পুলিশ বের হয়ে বাসার বাইরে অবস্থান নেয়।
সেদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণফোরামের এস এম আকরাম ও সুব্রত চৌধুরী, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও বহ্নিশিখা জামালী, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।কিন্ত শেষ পর্যন্ত জোট হলো চার দলের।