ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মুরাদনগরের অনন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়;ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম দারণভাবে ব্যহত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে অনন্তপুর গ্রামের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। একটু বৃষ্টিতেই স্কুল চত্বরে হাটু পানি জমে যায়। যাতায়াতের পথও যায় বন্ধ হয়ে। আর বেশি বৃষ্টিতে পানি প্রবেশ করে ক্লাসরুমে। আশপাশের রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে স্কুল চত্বর নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পাশের নিমাই জুরি নামক একটি খাল প্রভাবশালী একটি মহল ভরাট করে দখল করায় একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের সামনের অংশসহ আসপাশ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়াও ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত বিদ্যালয়টি। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ সংকটটি হচ্ছে স্কুলটির প্রধান সমস্যা। জলাবদ্ধতাসহ সকল বিষয়গুলো স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে জানালেও নেই কোন প্রতিকার।

সরজেমিনে ঘুরে জানা যায়, স্কুলটিতে শিক্ষার্থী রয়েছে ৮’শ ৩৬ জন। যার মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ৬২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২৫ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১৪৫ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ২২৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৮০ জন। গত পিএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ ও চারজন বৃত্তিলাভ করেছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক স্বল্পতায় প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র চারজন শিক্ষক দিয়ে আটশ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শক্ষিক থাকার নিয়ম থাকলেও এখানে একজন শিক্ষক গড়ে ২০০ শিক্ষার্থীকে পাঠ দিচ্ছেন। মাত্র ৩টি কক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ হারাচ্ছে, তেমনি ব্যাহত হয় স্কুলের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম।

অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছারুল আলম ভূইয়া বলনে, ‘প্রতিটি ক্লাসে ১০০-র বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠ দিতে হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন দুই-তিনটি ক্লাস করাতে হয়। এক কক্ষে এত শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় পেছনের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথা শুনতেও পায় না। তা ছাড়া টয়লেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে মেয়েরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নানান সমস্যা আমি লিখিত ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অচিরেই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যালয়টি প্রাণ হারাবে।’

মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিদ্যালয়টি নানান সমস্যায় জর্জরিত। জরুরি ভিত্তিতে সমস্যা লাগবের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম বলেন, ‘বিদ্যালয়টির বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। ইতোমধ্যে খোজ খবর নিয়েছি। অচিরেই সমস্যা লাগব হবে আশা করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মুরাদনগরের অনন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়;ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম দারণভাবে ব্যহত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে অনন্তপুর গ্রামের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। একটু বৃষ্টিতেই স্কুল চত্বরে হাটু পানি জমে যায়। যাতায়াতের পথও যায় বন্ধ হয়ে। আর বেশি বৃষ্টিতে পানি প্রবেশ করে ক্লাসরুমে। আশপাশের রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে স্কুল চত্বর নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পাশের নিমাই জুরি নামক একটি খাল প্রভাবশালী একটি মহল ভরাট করে দখল করায় একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের সামনের অংশসহ আসপাশ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়াও ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত বিদ্যালয়টি। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ সংকটটি হচ্ছে স্কুলটির প্রধান সমস্যা। জলাবদ্ধতাসহ সকল বিষয়গুলো স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে জানালেও নেই কোন প্রতিকার।

সরজেমিনে ঘুরে জানা যায়, স্কুলটিতে শিক্ষার্থী রয়েছে ৮’শ ৩৬ জন। যার মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ৬২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২৫ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১৪৫ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ২২৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৮০ জন। গত পিএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ ও চারজন বৃত্তিলাভ করেছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক স্বল্পতায় প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র চারজন শিক্ষক দিয়ে আটশ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শক্ষিক থাকার নিয়ম থাকলেও এখানে একজন শিক্ষক গড়ে ২০০ শিক্ষার্থীকে পাঠ দিচ্ছেন। মাত্র ৩টি কক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ হারাচ্ছে, তেমনি ব্যাহত হয় স্কুলের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম।

অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছারুল আলম ভূইয়া বলনে, ‘প্রতিটি ক্লাসে ১০০-র বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠ দিতে হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন দুই-তিনটি ক্লাস করাতে হয়। এক কক্ষে এত শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় পেছনের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথা শুনতেও পায় না। তা ছাড়া টয়লেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে মেয়েরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নানান সমস্যা আমি লিখিত ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অচিরেই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যালয়টি প্রাণ হারাবে।’

মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিদ্যালয়টি নানান সমস্যায় জর্জরিত। জরুরি ভিত্তিতে সমস্যা লাগবের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম বলেন, ‘বিদ্যালয়টির বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। ইতোমধ্যে খোজ খবর নিয়েছি। অচিরেই সমস্যা লাগব হবে আশা করছি।