ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃহত্তর ঐক্য গড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত ২০ দলীয় জোটের

জাতীয় ডেস্কঃ

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। এ ছাড়া জোটগত কর্মসূচি পালনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে জোটের বৈঠকে।

 

নজরুল ইসলাম বলেন, দল ভাঙবে না বরং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জোটের পরিসর আরও বাড়বে। ২০ দলীয় জোট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দেবে এবং দ্রুতই প্রেসক্লাবের সামনে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা করবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবি এবং কৃষি উপকরণের মূল্য কমানোর দাবিতে সারা দেশে কর্মসূচি দেবে তারা। এ ছাড়া প্রতিমাসে ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের জোট ত্যাগের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তার মান-অভিমান থাকতেই পারে। তবে আশাকরি ভুল-ত্রুটি সংশোধন হয়ে সেটা ঠিক হয়ে যাবে। পার্থ ২০ দলে ফিরে আসবে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের জোট ছাড়ার হুমকির বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ডা. ইরান আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের বলেছেন এ ধরনের কথা তিনি বলেননি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের আগে সতর্ক হয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গত ৬ মে ২০ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। তিনি আজকের বৈঠকে উপস্থিতও ছিলেন না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে তিনি আশা করেন আন্দালিব রহমান ফিরে আসবেন।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো বিরোধ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ২০ দলের সমন্বয়ক বলেন, ২০ দলের অনুমতি নিয়েই ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো বিরোধ নেই।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, এনডিপির সভাপতি ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি শাওন সাদেকী, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জাতীয় দলের সভাপতি এহসানুল হুদা, জাগপা মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শওকত আমিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ। বৈঠক শেষে শীর্ষ নেতারা এক সঙ্গে ইফতার করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

বৃহত্তর ঐক্য গড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত ২০ দলীয় জোটের

আপডেট সময় ০৪:৩০:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। এ ছাড়া জোটগত কর্মসূচি পালনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে জোটের বৈঠকে।

 

নজরুল ইসলাম বলেন, দল ভাঙবে না বরং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জোটের পরিসর আরও বাড়বে। ২০ দলীয় জোট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দেবে এবং দ্রুতই প্রেসক্লাবের সামনে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা করবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবি এবং কৃষি উপকরণের মূল্য কমানোর দাবিতে সারা দেশে কর্মসূচি দেবে তারা। এ ছাড়া প্রতিমাসে ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের জোট ত্যাগের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তার মান-অভিমান থাকতেই পারে। তবে আশাকরি ভুল-ত্রুটি সংশোধন হয়ে সেটা ঠিক হয়ে যাবে। পার্থ ২০ দলে ফিরে আসবে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের জোট ছাড়ার হুমকির বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ডা. ইরান আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের বলেছেন এ ধরনের কথা তিনি বলেননি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের আগে সতর্ক হয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গত ৬ মে ২০ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। তিনি আজকের বৈঠকে উপস্থিতও ছিলেন না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে তিনি আশা করেন আন্দালিব রহমান ফিরে আসবেন।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো বিরোধ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ২০ দলের সমন্বয়ক বলেন, ২০ দলের অনুমতি নিয়েই ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো বিরোধ নেই।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, এনডিপির সভাপতি ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি শাওন সাদেকী, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জাতীয় দলের সভাপতি এহসানুল হুদা, জাগপা মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শওকত আমিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ। বৈঠক শেষে শীর্ষ নেতারা এক সঙ্গে ইফতার করেন।