ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যান্ডেজ দিয়ে জুতা তৈরি করে স্বর্ণ জয়

খেলাধূলা ডেস্ক:

মেয়েটা উড়তে চায়। কিন্তু প্লেনে ওড়ার সামর্থ্য নেই। নিজের হাতে বানিয়ে নিল একটা ডানা। উড়ল প্লেনের থেকেও ওপরে। ওই যে ‘‌ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’। এটা তো গল্প। কিন্তু সেটা সত্যি করে দেখাল ১১ বছরের এক বালিকা। ‌

ফিলিপাইনের অ্যাথলেট রিয়া বুলোস। ইলোইলো স্কুলের ক্রীড়া কাউন্সিল মিটের প্রতিযোগিতায় ৪০০, ৮০০, ১৫০০ মিটারের দৌড়ে জিতে সোনার মেডেল পেল রিয়া। কিন্তু পায়ে আসল জুতা না, ছিল ব্যন্ডেজ দিয়ে তৈরি জুতা। নিজের প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর বসে বসে বাকি প্রতিযোগিতা দেখছিল সে। তখনই সবার চোখে পড়ে তার ব্যান্ডেজ জুতা। ওপরে সবুজ রঙ দিয়ে ‘‌নাইকি’‌ ব্র্যান্ডের লোগো।

রিয়ার জয়ে খুশি হন রিয়ার ক্রীড়া শিক্ষক। তাঁর কাছ থেকেই জানতে পারা যায়, রিয়ার মতো অনেক বাচ্চারই জুতো নেই বলে ভাল করে অনুশীলন করতে পারে না তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে নিয়ে লেখালেখি হওয়ার পরেই বহু মানুষ রিয়াকে স্পন্সর করতে চায়। ‘‌আলাস্কা এসেস’ সংস্থার জেফ ক্যারিয়াসো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, তিনি রিয়াকে স্পন্সর করতে চান, কিন্তু যোগাযোগ করার জন্য কারওর সাহায্য চাই। ‌রিয়ার এক পরিচিত সেই সাহায্য করার ক’‌দিন পর রিয়ার একটি ছবি দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্থানীয় মলের একটি জুতোর দোকানে সে নতুন জুতা পরে দেখছে। আর তাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে জুতো বানাতে হবে না। সে মনের আনন্দে ছুটতে পারবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ব্যান্ডেজ দিয়ে জুতা তৈরি করে স্বর্ণ জয়

আপডেট সময় ০২:১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

খেলাধূলা ডেস্ক:

মেয়েটা উড়তে চায়। কিন্তু প্লেনে ওড়ার সামর্থ্য নেই। নিজের হাতে বানিয়ে নিল একটা ডানা। উড়ল প্লেনের থেকেও ওপরে। ওই যে ‘‌ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’। এটা তো গল্প। কিন্তু সেটা সত্যি করে দেখাল ১১ বছরের এক বালিকা। ‌

ফিলিপাইনের অ্যাথলেট রিয়া বুলোস। ইলোইলো স্কুলের ক্রীড়া কাউন্সিল মিটের প্রতিযোগিতায় ৪০০, ৮০০, ১৫০০ মিটারের দৌড়ে জিতে সোনার মেডেল পেল রিয়া। কিন্তু পায়ে আসল জুতা না, ছিল ব্যন্ডেজ দিয়ে তৈরি জুতা। নিজের প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর বসে বসে বাকি প্রতিযোগিতা দেখছিল সে। তখনই সবার চোখে পড়ে তার ব্যান্ডেজ জুতা। ওপরে সবুজ রঙ দিয়ে ‘‌নাইকি’‌ ব্র্যান্ডের লোগো।

রিয়ার জয়ে খুশি হন রিয়ার ক্রীড়া শিক্ষক। তাঁর কাছ থেকেই জানতে পারা যায়, রিয়ার মতো অনেক বাচ্চারই জুতো নেই বলে ভাল করে অনুশীলন করতে পারে না তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে নিয়ে লেখালেখি হওয়ার পরেই বহু মানুষ রিয়াকে স্পন্সর করতে চায়। ‘‌আলাস্কা এসেস’ সংস্থার জেফ ক্যারিয়াসো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, তিনি রিয়াকে স্পন্সর করতে চান, কিন্তু যোগাযোগ করার জন্য কারওর সাহায্য চাই। ‌রিয়ার এক পরিচিত সেই সাহায্য করার ক’‌দিন পর রিয়ার একটি ছবি দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্থানীয় মলের একটি জুতোর দোকানে সে নতুন জুতা পরে দেখছে। আর তাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে জুতো বানাতে হবে না। সে মনের আনন্দে ছুটতে পারবে।