ফয়সল আহমেদ খানঃ
রহিম,মঙ্গল ও নয়নতারা বেগম।সবার বয়সই ৭০ বছরের মধ্যে।ছিন্নমূল ও অতিদরিদ্র পরিবারের সদস্য এই ৩জন।কথা বলে জানা গেছে,তাদের কেউ টোকাই,কেউ ভিক্ষাবৃত্তি,কেউ ম্বামী পরিত্যাক্তা,কেউবা আল্লাহর উপর ভরসা করে(প্রতিবন্দ্বী)রাস্তা-রেলষ্টেশনে এক স্থানে দিনের পর দিন সাহায্যের জন্য পড়ে থাকে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেলষ্টেশনের প্লাটফর্ম।মুটামুটি শুনশান নিরবতা।কিছুক্ষণ আগে উপকূল এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।ফলে যাত্রী নেই।পাতলা কাথাঁ গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিলো কেবল ছিন্নমূল বস্তিবাসীদের বৃদ্ধ ও শিশুরা।তারা তীব্র শীতে ঠক্-ঠক্ করে কাঁপছিলো। হয়তো-মনে মনে ভাবছিলো,- ‘এই শীতে কেউ যদি একটি স্যুয়েটার অথবা শীত আটকাতে আর রাতে আরামে ঘুমুনোর জন্য কম্বল দিতো।উফ্ ! কি গরম উম্ টাই না পেতাম! কতোই না ভালো হতো।’’
ওদের স্বপ্ন ও কষ্ট বুঝতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার প্রবাসী বিবেকবান-মানবিক মানুষগুলো গড়ে তোলে কিং ষ্টার গ্রুপ নামে একটি প্রবাসী সমাজকল্যান মূলক সংগঠন।আর আজ সেই সংগঠনের পক্ষে এর সদস্যরা নতুন শীতের কাপড় কম্বল ‘হ্যান্ড টু হ্যান্ড’ দিতে এসেছে।শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস-রেলষ্টেশনেই নয়।আখাউড়া রেলষ্টেশন,বাসষ্টেশনেও এক যোগে অন্যান্য সদস্যরা বিতরনের জন্য হাজির।আখাউড়ার পৌর মেয়র সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
কিং ষ্টার গ্রুপের সংগঠনের পক্ষে ৩ শতাধিক কম্বল,স্যুয়েটার বিতরন অনুষ্ঠানে সাথে উপস্থিত ছিলেন তিতাস বার্তার সম্পাদক এম.এ মতিন সানু,নিরাপদ সড়ক চাই(নিমসা)জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ¦ সাদেকুল ইসলাম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডট কমের সম্পাদক মো.মাহফুজুর রহমান পুষ্প,জাকির।আর সবার অগ্রভাগে কিংষ্টারের চেয়ারম্যান মীর হেলাল সাহেব তো আছেন-ই।সাথে উৎসাহ যোগাচ্ছেন রেল ষ্টেশনের মাষ্টার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।তারা সবাই কিছুটা অবাক।ষ্টেশন মাষ্টার বলেন,-‘আগে মানুষের মধ্যে মানবিকতা ছিলো।৪র্থ জেনারেশনে এসে তা দিন কি দিন কমছে।প্রবাসী ভাইয়েরা তাদের পরিশ্রমের টাকা গরীব-দুখীদের যে দিচ্ছে তাতে নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা খুশী হবেন।’
আখাউড়াসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশনে কিং ষ্টারের মূল উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলামের হাত থেকে শীতের কম্বল নিলো শুরুতে উল্লেখিত রহিম,মঙ্গল ও নয়নতারা বেগম ।কম্বল পেয়ে কেমন লাগছে তোমাদের প্রশ্ন করি তাদের।জবাবে অসহায় ও দুস্থ্য বৃদ্ধরা সবাই একসুরে বলেন,-‘কি যে ভালো লাগছে।বলে বুঝানো যাবে না।নতুন কম্বল এখন সাহেব-বড়লোকরা দিতেই চায় না।দেয় কেবল পুরনো ছেড়া কম্বল।নতুন-তরতাজা কম্বল পেয়ে মনে হচ্ছে আজ আমাদের যেনো ঈদের দিন।।ঈদের খুশী আর আনন্দ লাগছে’’।
বৃদ্ধা নয়নতারা বলেন,কিং ষ্টার স্যারেরা আজ আমাদের যেভাবে কম্বল দিয়ে সহায়তা করেছেন,তাতে আমরা দারুন উপকৃত হলাম।সমাজের বিত্তবানরা যদি এভাবে এগিয়ে …।