ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রুনাইয়ে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করলে মৃত্যুদণ্ড

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

সমকামিতা, পরকীয়া, ব্যাভিচার ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করলে উন্মুক্ত মঞ্চে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র ব্রুনাই। আগামী ৩ এপ্রিল (বুধবার) থেকে এই আইন দেশটিতে কার্যকর করা হবে।

এছাড়া চুরি ও ধর্ষণের মত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড জারি করতে যাচ্ছে ব্রুনাই।

তবে এই আইন জারি করতে যাওয়ায় দেশটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অনেক মানবাধিকার সংস্থা ব্রুনাইয়ের এমন আইনের কড়া বিরোধিতা করছে।

জাতিসংঘ ইতিমধ্যে ব্রুনাইয়ের এমন আইনকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর কড়া সমালোচনা করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রুনাইয়ের এই আইন কার্যকর না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া অনেক দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ব্রুনাইয়ের সুলতান ২০১৩ সালে ইসলামি শরিয়া আইনে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।

১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আলাদা হলেও এখনো ব্রিটেনের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে ব্রুনাইয়ের। দেশটিতে শুরু থেকে অনেক বেশি ধর্মীয় গোঁড়ামি বলে পরিচিত। মুসলিম অধ্যুষিত ব্রুনাইয়ে মদ বিক্রি থেকে মদ্যপান সবটাই নিষিদ্ধ। এছাড়া জুয়াও দেশটিতে একপ্রকার নিষিদ্ধ।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, টাইমস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট,ইউএন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ব্রুনাইয়ে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করলে মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৬:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯
ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

সমকামিতা, পরকীয়া, ব্যাভিচার ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করলে উন্মুক্ত মঞ্চে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র ব্রুনাই। আগামী ৩ এপ্রিল (বুধবার) থেকে এই আইন দেশটিতে কার্যকর করা হবে।

এছাড়া চুরি ও ধর্ষণের মত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড জারি করতে যাচ্ছে ব্রুনাই।

তবে এই আইন জারি করতে যাওয়ায় দেশটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অনেক মানবাধিকার সংস্থা ব্রুনাইয়ের এমন আইনের কড়া বিরোধিতা করছে।

জাতিসংঘ ইতিমধ্যে ব্রুনাইয়ের এমন আইনকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর কড়া সমালোচনা করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রুনাইয়ের এই আইন কার্যকর না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া অনেক দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ব্রুনাইয়ের সুলতান ২০১৩ সালে ইসলামি শরিয়া আইনে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।

১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আলাদা হলেও এখনো ব্রিটেনের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে ব্রুনাইয়ের। দেশটিতে শুরু থেকে অনেক বেশি ধর্মীয় গোঁড়ামি বলে পরিচিত। মুসলিম অধ্যুষিত ব্রুনাইয়ে মদ বিক্রি থেকে মদ্যপান সবটাই নিষিদ্ধ। এছাড়া জুয়াও দেশটিতে একপ্রকার নিষিদ্ধ।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, টাইমস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট,ইউএন।