ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়পুকুরিয়া খনি মামলা: অভিযোগ গঠন শুনানি ১২ নভেম্বর

জাতীয় ডেস্ক:

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তাই কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আদালত অভিযোগ গঠনের নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি। যে কারণে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম করা হয়। এতে রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি সংক্রান্ত অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরই ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

এছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেকমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম অভিযোগ পত্রে ছিলেন। ইতোমধ্যে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন। মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তাই তাদের বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিচার চলছে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়া গতবছর ৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার দিন থেকে কারাবন্দি রয়েছেন। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও দণ্ডিত হন খালেদা জিয়া।বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

বড়পুকুরিয়া খনি মামলা: অভিযোগ গঠন শুনানি ১২ নভেম্বর

আপডেট সময় ০৩:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তাই কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আদালত অভিযোগ গঠনের নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি। যে কারণে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম করা হয়। এতে রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি সংক্রান্ত অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরই ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

এছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেকমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম অভিযোগ পত্রে ছিলেন। ইতোমধ্যে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন। মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তাই তাদের বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিচার চলছে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়া গতবছর ৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার দিন থেকে কারাবন্দি রয়েছেন। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও দণ্ডিত হন খালেদা জিয়া।বাসস