আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা রদ করে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করায় ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করে বলেন,‘প্রাচ্যের দেশ হিসেবে ভারতই প্রথম গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক আদর্শ অর্জনের জন্য এত কিছু করার পরেও বর্তমান পদক্ষেপে আমরা সেই খ্যাতি হারিয়ে ফেলছি। একজন ভারতীয় হিসেবে এ ব্যাপারে আমি গর্বিত নই।’
কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ছাড়া কাশ্মীর সমস্যার কোনো সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না।’
ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের কারণে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে। ফলে, ভারতের অন্য রাজ্যের যেকেউ কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবে। আগে কাশ্মীরে অন্য রাজ্যের কেউ জমি কিনতে পারতো না। জমি কেনার জন্য অন্তত ১০ বছর কাশ্মীরে বসবাস করার নিয়ম ছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের জমি সম্পর্কে সেন বলেন,‘এ সিদ্ধান্ত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের জনগণের নেওয়া উচিত। কারণ, এটি তাদের জমি।’
কাশ্মীরের গণতন্ত্র বিষয়ে বলেন,‘জনগণের নেতাদের কণ্ঠস্বর না শুনে আপনারা স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার পাবেন বলে আমি মনে করি না। হাজার হাজার নেতাকে দমিয়ে রেখে, অতীতে দেশকে নেতৃত্বদানকারী এবং সরকার গঠনকারী নেতাসহ অনেককে কারাগারে রেখে গণতন্ত্র সফল হবে না।’
সরকার কাশ্মীরে নিরাপত্তার অজুহাতে অতিরিক্ত ৪০ হাজার সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য নিযুক্তের পাশাপাশি কারফিউ জারি করেছে। অনেক নেতাকে গৃহবন্দিসহ চার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অমত্য সেন বলেন,‘এটি পুরোনো ঔপনিবেশিক অজুহাত। ব্রিটিশরা এভাবেই ২০০ বছর ধরে দেশ চালিয়েছিল।’
কাশ্মীরে এখনও কারফিউ জারি রয়েছে। সোমবার কাশ্মীরের ৯০০ স্কুলের মধ্যে ১৯৬টি স্কুল খোলা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অনেক কম ছিল। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় তরুণদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।