খেলাধূলা;
ভারত নাকি ‘দাদাগিরি’ করছে! ভারতের চাপে পড়েই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না শ্রীলঙ্কার ১০ নামী ক্রিকেটার! এমনই দাবি করলেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় থেকে একের পর এক ভারত বিদ্বেষী ও বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবারই তিনি শিরোনামে এসেছেন। দু’দিন আগে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার নিখোঁজ হওয়ার পরও ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে বিদ্রুপ করে টুইট করেছিলেন ফাওয়াদ। যদিও তাঁর নিজের দেশের নাগরিকরাই এই বিদ্রুপের সমালোচনা করে পাল্টা টুইটে বিদ্ধ করেছেন পাক বিজ্ঞান মন্ত্রীকে। কিন্তু কিছুতেই দমতে রাজি নন ফাওয়াদ। এ বার নাক গলিয়েছেন খেলার মাঠে।
২০০৯ সালে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে জঙ্গি হামলার পর থেকে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশ পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যায় না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে হোম ম্যাচ খেলতে হয় ইমরান খানের দেশকে। ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পিসিবি। সেই কারণেই শ্রীলঙ্কাকে পাকিস্তানে আনার চেষ্টা চালিয়েছিল সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পাক-মুলুকে ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগ ধাক্কা খায়। আর তার পরে মন্ত্রী ফাওয়াদের পুরো রাগটাই এসে পড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপরে। মন্ত্রীর মতে, পাকিস্তান সফরে মালিঙ্গাদের না আসার পেছনে রয়েছে ভারতের ‘সস্তাদরের এক চাল’। দাবি, এক ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারের কাছ থেকে তিনি নাকি জানতে পেরেছেন, মালিঙ্গারা পাকিস্তান সফরে গেলে আইপিএলে তাঁদের খেলতে দেবে না ভারত। আর সেই কারণেই নাকি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করছেন।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে তিনটি ওয়ান-ডে, সম সংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটাররা আলোচনায় বসেছিলেন। তার পরেই করুণারত্নে, মালিঙ্গা, ম্যাথিউজ, দীনেশ চাঁদিমল, সুরঙ্গ লাকমল, আকিলা ধনঞ্জয়, ধনঞ্জয় ডি’ সিলভা, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা ও নিরোশান ডিকভেলা সরে দাঁড়িয়েছেন। পাক-মন্ত্রী অবশ্য শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের শঙ্কার কারণ নিয়ে শব্দ খরচ করেননি। তাঁর নিশানায় কেবল ভারত।