অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সারা বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশ যেখানে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছে, সেখানেই পাকিস্তানের চিত্রটা একটু অন্যরকম। দেশের বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ তারা খরচ করছে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রি (SIPRI) একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার কমানোর দিকে নয়, তাকে নতুন ভাবে কাজে লাগানোর যে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে তা উদ্বেগজনক। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘প্রকৃত অর্থে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকাই নয়, পুরনো অস্ত্র ভাণ্ডারও ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সমস্ত পরমাণু শক্তিধর দেশগুলিকে এটাই নিশ্চিত করতে হবে।’
সিপ্রি-র প্রধান জ্যান এলিয়াসন জানিয়েছেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল এবং উত্তর কোরিয়া- এই দেশগুলি মিলিয়ে চলতি বছরের শুরুতে ১৪,৪৬৫টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ছিল। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪,৯৩৫। খানিকটা হয়তো কমেছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এই মোট ওয়ারহেডের মধ্যে আমেরিকা এবং রাশিয়ার কাছেই ৯২ শতাংশ রয়েছে। ২০১০ সালে দুই দেশ START ট্রিটি স্বাক্ষর করার পর এই পরিমাণ ওয়ারহেড কম হয়েছে।
সংখ্যার বিচারে দুই বড় শক্তিধর দেশ বাদ দিলে ব্রিটেনের কাছে ২১৫টি, ফ্রান্সের কাছে ৩০০, চীনের কাছে ২৮০, ভারতের কাছে ১৩০-১৪০টি, পাকিস্তানের কাছে ১৪০-১৫০টি, ইসরায়েলের কাছে ৮০টি এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে ১০-২০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। এই প্রত্যেকটি দেশ দূর পাল্লার বিভিন্ন ব্যালিস্টিক মিসাইল সফল ভাবে পরীক্ষা করছে। ফলে যা অবস্থা, তাতে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যদি এই সব দেশ একটিও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তাতে গোটা বিশ্ব নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এই সময়