ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতির পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রীকে গণধর্ষণ

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় বোর্ডে শীর্ষ স্থানধারী এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৯ বছরের ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে এক দল যুবক। পরে অচেতন অবস্থায় একটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম জানায়, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী রিওয়ারিতে তার গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিল। সে সময় তিন যুবক একটি গাড়িতে করে এসে দাঁড়ায় এবং ছাত্রীটিকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় তাকে।
তিন যুবক যখন ছাত্রীটিকে ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায়, তখন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পুরুষরাও তাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগকারীর দাবি, ধর্ষকরা সকলেই তার গ্রামের।
সংবাদমাধ্যমের খবর ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সেরেছে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে ছাত্রীর পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই এর সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।’
এক পুলিশ অফিসারের দাবি, এই ঘটনায় ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর যখন সেই অভিযোগ অন্য থানায় (অপরাধের এলাকা সংশ্লিষ্ট থানার) দায়ের করা হয়, তখন ‘জিরো এফআইআর’ নথিভুক্ত করা হয়। এই এইআইআর পরবর্তীকালে সঠিক থানায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ‘জিরো এফআইআর’ ইতিমধ্যে নিয়মিত মামলায় পরিণত হয়েছে।যে থানার অধীন এলাকায় অপরাধটি ঘটেছে, সেখানেই অফআইআরটি স্থানান্তরিত করা হয়ে গিয়েছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

ভারতের হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতির পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রীকে গণধর্ষণ

আপডেট সময় ১০:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় বোর্ডে শীর্ষ স্থানধারী এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৯ বছরের ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে এক দল যুবক। পরে অচেতন অবস্থায় একটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম জানায়, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী রিওয়ারিতে তার গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিল। সে সময় তিন যুবক একটি গাড়িতে করে এসে দাঁড়ায় এবং ছাত্রীটিকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় তাকে।
তিন যুবক যখন ছাত্রীটিকে ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায়, তখন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পুরুষরাও তাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগকারীর দাবি, ধর্ষকরা সকলেই তার গ্রামের।
সংবাদমাধ্যমের খবর ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সেরেছে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে ছাত্রীর পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই এর সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।’
এক পুলিশ অফিসারের দাবি, এই ঘটনায় ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর যখন সেই অভিযোগ অন্য থানায় (অপরাধের এলাকা সংশ্লিষ্ট থানার) দায়ের করা হয়, তখন ‘জিরো এফআইআর’ নথিভুক্ত করা হয়। এই এইআইআর পরবর্তীকালে সঠিক থানায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ‘জিরো এফআইআর’ ইতিমধ্যে নিয়মিত মামলায় পরিণত হয়েছে।যে থানার অধীন এলাকায় অপরাধটি ঘটেছে, সেখানেই অফআইআরটি স্থানান্তরিত করা হয়ে গিয়েছে।